২০১০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলে সাফল্যের মুকুটে এবার সোনালি পালক লেগেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার একযোগে প্রকাশিত আটটি শিক্ষা বোর্ডের ফলে ঢাকার কোনো কলেজ নয়, দেশসেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ।
গ্রেডিং পদ্ধতি প্রবর্তনের অষ্টম বছরে এবার এইচএসসিতে সারাদেশে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি গত বছরের চেয়ে বেড়েছে। আট সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬২৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৪ লাখ ১৬ হাজার ৯৮৭ জন। ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৩৬ জন পাস করতে ব্যর্থ হয়েছেন। গড় পাসের হার ৭১ দশমিক ৮২। গতবার ছিল ৭০ দশমিক ৪৩। গতবারের তুলনায় এ হার ১ দশমিক ৩৯ ভাগ বেশি। বেশিরভাগ শিক্ষা বোর্ডেই এবার পাসের হার বেড়েছে। তবে পাসের হার বিবেচনায় সিলেট বোর্ড এবার শীর্ষ অবস্থানে। এ বোর্ডে পাসের হার ৭৬ দশমিক ১২ শতাংশ। সবচেয়ে খারাপ করেছে দিনাজপুর বোর্ড, পাসের হার ৬৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। সার্বিক বিবেচনায় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এবার দেশের সেরা কলেজ ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ। সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের নতুন পদ্ধতিতে খেই পায়নি ঢাকার খ্যাতনামা কলেজগুলো। গতবারের দেশসেরা রাজধানীর নটর ডেম কলেজ
এবার ঢাকা বোর্ডে ষষ্ঠ। মেয়েদের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পেয়েছে অষ্টম স্থান। আর এসব প্রতিষ্ঠানে ফল বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে ঢাকার দীর্ঘদিনের গরিমা কিছুটা হলেও ম্লান হয়েছে।
ফলের ক্ষেত্রে ছেলেরা গতবার এগিয়ে থাকলেও এবার তারা পিছিয়ে পড়েছেন। মেয়েরাই এবার সাফল্যের শিখরে। তাদের গড় পাসের হার ৭১ দশমিক ৮৮ ভাগ। আর ছেলেদের ৭১ দশমিক ৭৬ ভাগ। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা দিন দিন পিছিয়ে পড়ছেন। এবার তাদের পাসের হার ৭৩ দশমিক ০৪ ভাগ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা গতবারের মতো পাসের হারে এগিয়ে আছেন। তাদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৯৩। মানবিকে পাস করেছেন ৬৫ দশমিক ৪০ ভাগ।
ফল বিবেচনায় এবার শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শীর্ষ তালিকায় ব্যাপকভাবে স্থান করে নিয়েছে। গতকাল ফল ঘোষণার পর শিক্ষা প্র্রতিষ্ঠানগুলোতে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। পরীক্ষা সমাপ্তির ঠিক ৫৭ দিনের মাথায় এবার ফল প্রকাশ করা হলো। গত বছর ৫৮ দিনের মাথায় ফল প্রকাশিত হয়েছিল।
এবার মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডে এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ছিলেন ৭ লাখ ২১ হাজার ৯৪৭ জন। পাস করেছেন ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৩ জন। পাসের হার ৭৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৭২ দশমিক ৮৭। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার ১ দশমিক ৪১ ভাগ বেশি। সারাদেশে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৮ হাজার ৬৭১ জন। তাদের মধ্যে ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫১২ জন, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ২ হাজার ৯৫৭ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ২০২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। গতবার সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ২০ হাজার ৩২২ জন। আর আটটি সাধারণ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১৮ হাজার ২২২ জন। এবার সারাদেশে মোট ৮ হাজার ৬৮২ জন বেশি ছাত্রছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। গ্রেডিং পদ্ধতি প্রবর্তনের পর এবারই জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা সর্বোচ্চ।
এর আগে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় শিক্ষামন্ত্রীসহ ১০ বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করায় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইন্টারনেটে ফল পাঠানো দুটি কলেজের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গেও কথা বলেন। এ কলেজ দুটি হলো_ গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ ও সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ। এরপর ফলের নানা দিক নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দুপুর ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং দেন। এবারের ফলে নিজের সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সাধারণত ইংরেজি ও গণিতে শিক্ষার্থীরা বেশি অকৃতকার্য হয়। তাই এবার আমরা এ দুটি বিষয়ে বেশি কেয়ার নিতে শিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছিলাম। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ইংরেজি ও গণিতে বাড়তি ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।’ এতে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের পরীক্ষার্থীরা সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, নকলমুক্ত ও স্বাভাবিক পরিবেশে যেন পরীক্ষা দিতে পারেন। তাদের ওপর যেন কোনো চাপ না থাকে। আমরা সে পরিবেশ নিশ্চিত করতে পেরেছি।’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বেড়েছে, অভিভাবকরাও আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন।’ ফল প্রকাশের পদ্ধতি সম্পর্কে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা ফল প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছি। ই-মেইলে অনেক কলেজে ফল পাঠানো হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা ওয়েবসাইট, মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানতে পারছে। চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় সর্বমোট ২২ লাখ এসএসএম পাওয়া গেছে। এছাড়া একই সময়ে ইন্টারনেট ও ওয়েবসাইটে পরীক্ষার ফল জানতে ৮০ লাখ বার হিট হয়েছে।’
এবারের এইচএসসির ফল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে দেশের অন্যতম খ্যাতিমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নটর ডেম কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার বেঞ্জামিন ডি কস্টা সমকালকে বলেন, ‘পাসের হার বাড়লে সবাই খুশি হয়। আমিও খুশি হব। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে, শিক্ষিত ঘুষখোর তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো সে তার মেধাকে কতটা বিকশিত করতে পারল, কর্মজীবনে এ জ্ঞানকে কতটা কাজে লাগাতে পারছে।’
অন্যদিকে, মেয়েদের খ্যাতনামা বিদ্যাপীঠ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম সমকালকে বলেন, ‘এবারের সাফল্যের কৃতিত্ব একাধারে সরকার, বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকমণ্ডলী, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রাপ্য। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ ফল।’ তবে তিনি মনে করেন, ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে মনোযোগী হওয়া দরকার।
দুপুরে ফল ঘোষণার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে পড়েন। এর আগে সকাল থেকেই তারা কলেজ প্রাঙ্গণে ভিড় জমান। তীব্র গরম উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত হন। ফল ঘোষণার পর অনেকে ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনেও মেসেজ পাঠিয়ে জেনে নেন। টেলিফোন ও সেলফোনে ফল আদান-প্রদানের কারণে কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কে জটের সৃষ্টি হয়। সারাদেশে মিষ্টি কেনার ধুম পড়ে যায়। বাসা-বাড়িতেও মিষ্টি বিতরণ উৎসব শুরু হয়। ভালো ফল লাভকারীরা নিজ নিজ কলেজ ক্যাম্পাসে দীর্ঘক্ষণ আনন্দ-উল্লাস করেন। এবারই প্রথমবারের মতো ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ‘ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ’ (ডিআইবিএস) পরীক্ষার্থীদের ফল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সঙ্গে যোগ করা হয়।
বোর্ডওয়ারি পাসের হার : সর্বোচ্চ পাসের হার সিলেট বোর্ডে ৭৬ দশমিক ১২ ভাগ। পর্যায়ক্রমে রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৪৩ ভাগ, বরিশাল বোর্ড ৭৪ দশমিক ৩৪, কুমিল্লা বোর্ড ৭৩ দশমিক ১৩, চট্টগ্রাম বোর্ড ৭২ দশমিক ৬৫, ঢাকা ৭২ দশমিক ১০, যশোর ৬৭ দশমিক ৭৩ ও সর্বনিম্ন দিনাজপুর ৬৭ দশমিক ৫৪ ভাগ।
আট বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া ২৫ হাজার ৫১২ জনের মধ্যে ১৪ হাজার ৩৬৪ জন ছেলে এবং ১১ হাজার ১৪৮ জন মেয়ে। ঢাকার হলি ক্রস কলেজ থেকে ৭২২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। কিন্তু সারাদেশের ২৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো পরীক্ষার্থী পাস করেননি। তবে ৭১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পাস করেছে।
বোর্ডওয়ারি ফলাফল
সিলেট : সিলেট বোর্ডে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ১৯ হাজার ৮২০ জন। পাস করেছেন ১৫ হাজার ৮৭ জন। পাসের হার ৭৬ দশমিক ১২ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৯৭ জন। এছাড়া জিপিএ-৪ থেকে ৫-এর মধ্যে পেয়েছেন ২ হাজার ৯০৭ জন, জিপিএ-৩ দশমিক ৫ থেকে ৪-এর মধ্যে পেয়েছেন ২ হাজার ৮৯৪ জন, জিপিএ-৩ থেকে ৩ দশমিক ৫-এর মধ্যে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৯ জন, জিপিএ-২ থেকে ৩-এর মধ্যে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৪৮ জন এবং জিপিএ-১ থেকে ২-এর মধ্যে পেয়েছেন ৮৬২ জন। ছেলেদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৩ ও মেয়েদের ৭৪ দশমিক ০৩ ভাগ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭১ দশমিক ৮১, মানবিকে ৭৩ দশমিক ৬৩ ও বাণিজ্য শিক্ষায় ৮৯ দশমিক ৬০ ভাগ।
রাজশাহী : রাজশাহী বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৮৩ হাজার ৭৩৭ জন। পাস করেছেন ৬১ হাজার ৯৮৭ জন। পাসের হার ৭৫ দশমিক ৪৩ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬০২ জন। এছাড়া জিপিএ-৪ থেকে ৫-এর মধ্যে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮৯৩ জন, জিপিএ-৩ দশমিক ৫ থেকে ৪-এর মধ্যে পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৭০ জন, জিপিএ-৩ থেকে ৩ দশমিক ৫-এর মধ্যে পেয়েছেন ১১ হাজার ৩০৭ জন, জিপিএ-২ থেকে ৩-এর মধ্যে পেয়েছেন ১২ হাজার ২৪৫ জন এবং জিপিএ-১ থেকে ২-এর মধ্যে পেয়েছেন ১ হাজার ৭৭০ জন। ছেলেদের পাসের হার ৭৪ দশমিক ২০ ও মেয়েদের ৭৬ দশমিক ৮৬ ভাগ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৩ দশমিক ০৩, মানবিকে ৭২ দশমিক ৯১ ও বাণিজ্য শিক্ষায় ৮৪ দশমিক ৬১ ভাগ।
বরিশাল : বরিশাল বোর্ডে পরীক্ষা দিয়েছেন ৩৫ হাজার ১৪১ জন। পাস করেছেন ২৬ হাজার ১২৫ জন। পাসের হার ৭৪ দশমিক ৩৪ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫৭ জন। এছাড়া জিপিএ-৪ থেকে ৫-এর মধ্যে পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৫৭ জন, জিপিএ-৩ দশমিক ৫ থেকে ৪-এর মধ্যে পেয়েছেন ৫ হাজার ১১৮ জন, জিপিএ-৩ থেকে ৩ দশমিক ৫-এর মধ্যে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৩১ জন, জিপিএ-২ থেকে ৩-এর মধ্যে পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৫৫ জন এবং জিপিএ-১ থেকে ২-এর মধ্যে পেয়েছেন ১ হাজার সাত জন। ছেলেদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৪৭ ও মেয়েদের ৭৩ দশমিক ১৮ ভাগ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫, মানবিকে ৬৮ দশমিক ৫৩ ভাগ ও বাণিজ্য শিক্ষায় ৮৬ দশমিক দুই ভাগ।
কুমিল্লা : কুমিল্লা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৫৩ হাজার ৯৩৪ জন। পাস করেছেন ৩৯ হাজার ৪৪৪ জন। পাসের হার ৭৩ দশমিক ১৩ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ১৬৮ জন। এছাড়া জিপিএ-৪ থেকে ৫-এর মধ্যে পেয়েছেন ৬ হাজার ৭০৬ জন, জিপিএ-৩ দশমিক ৫ থেকে ৪-এর মধ্যে পেয়েছেন ৭ হাজার ৩১১ জন, জিপিএ-৩ থেকে ৩ দশমিক ৫-এর মধ্যে পেয়েছেন ৮ হাজার ২৪৪ জন, জিপিএ-২ থেকে ৩-এর মধ্যে পেয়েছেন ১২ হাজার ৯১৭ জন এবং জিপিএ-১ থেকে ২-এর মধ্যে পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৮ জন। ছেলেদের পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৬ ও মেয়েদের ৭২ দশমিক ২৬ ভাগ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৬৫ দশমিক ৭৩, মানবিকে ৬৫ দশমিক ৬২ ও বাণিজ্য শিক্ষায় ৮১ দশমিক ০৫ ভাগ।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বোর্ডের পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪২ হাজার ৯৭৬ জন। পাস করেছেন ৩১ হাজার ২২৪ জন। পাসের হার ৭২ দশমিক ৬৫ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬১৮ জন। এছাড়া জিপিএ-৪ থেকে ৫-এর মধ্যে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৯৮ জন, জিপিএ-৩ দশমিক ৫ থেকে ৪-এর মধ্যে পেয়েছেন ৫ হাজার ৮১৯ জন, জিপিএ-৩ থেকে ৩ দশমিক ৫-এর মধ্যে পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৭৩ জন, জিপিএ-২ থেকে ৩-এর মধ্যে পেয়েছেন ৯ হাজার ২০১ জন এবং জিপিএ-১ থেকে ২-এর মধ্যে পেয়েছেন ১ হাজার ৭০৫ জন। ছেলেদের পাসের হার ৭২ দশমিক ১৯ ও মেয়েদের ৭৩ দশমিক ১৬ ভাগ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৪১, মানবিকে ৬১ দশমিক ৮৫ ও বাণিজ্য শিক্ষায় ৭৯ দশমিক ২৪ ভাগ।
ঢাকা : ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯২৫ জন। পাস করেছেন ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৮ জন। পাসের হার ৭২ দশমিক ১০ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১ হাজার ২০ জন। এছাড়া জিপিএ-৪ থেকে ৫-এর মধ্যে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৫১ জন, জিপিএ-৩ দশমিক ৫ থেকে ৪-এর মধ্যে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৩৪ জন, জিপিএ-৩ থেকে ৩ দশমিক ৫-এর মধ্যে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৫৬ জন, জিপিএ-২ থেকে ৩-এর মধ্যে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯৬৮ জন এবং জিপিএ-১ থেকে ২-এর মধ্যে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১৯ জন। ছেলেদের পাসের হার ৭১ দশমিক ৯৯ ও মেয়েদের ৭২ দশমিক ২৩ ভাগ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৫ দশমিক নয় ভাগ, মানবিকে ৬১ দশমিক ৮৫ ও বাণিজ্য শিক্ষায় ৮১ দশমিক ৪৬ ভাগ।
যশোর : যশোর বোর্ডে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৭৮ হাজার ৮০১ জন। পাস করেছেন ৫৩ হাজার ৩৭০ জন। পাসের হার ৬৭ দশমিক ৭৩ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ২৩৬ জন। এছাড়া জিপিএ-৪ থেকে ৫-এর মধ্যে পেয়েছেন ১৪ হাজার ২৪৭ জন, জিপিএ-৩ দশমিক ৫ থেকে ৪-এর মধ্যে পেয়েছেন ১২ হাজার ২৮৯ জন, জিপিএ-৩ থেকে ৩ দশমিক ৫-এর মধ্যে পেয়েছেন ১১ হাজার ৯২৬ জন, জিপিএ-২ থেকে ৩-এর মধ্যে পেয়েছেন ১১ হাজার ৩৬০ জন এবং জিপিএ-১ থেকে ২-এর মধ্যে পেয়েছেন ১ হাজার ৩১২ জন। ছেলেদের পাসের হার ৬৭ দশমিক ৭৩ ও মেয়েদের ৬৭ দশমিক ৭২ ভাগ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৬ দশমিক ৬২, মানবিকে ৬১ দশমিক ৪৭ ও বাণিজ্য শিক্ষায় ৭৮ দশমিক ২৯ ভাগ।
দিনাজপুর : দিনাজপুর বোর্ড অন্য সাতটির চেয়ে পিছিয়ে আছে। এ বোর্ডে পরীক্ষা দিয়েছেন ৭২ হাজার ৮৫২ জন। পাস করেছেন ৪৯ হাজার ২০২ জন। পাসের হার ৬৭ দশমিক ৫৪ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৮১৪ জন। এছাড়া জিপিএ-৪ থেকে ৫-এর মধ্যে পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৩৬ জন, জিপিএ-৩ দশমিক ৫ থেকে ৪-এর মধ্যে পেয়েছেন ৯ হাজার ৪৪৭ জন, জিপিএ-৩ থেকে ৩ দশমিক ৫-এর মধ্যে পেয়েছেন ১১ হাজার ২৩২ জন, জিপিএ-২ থেকে ৩-এর মধ্যে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭৩৭ জন এবং জিপিএ-১ থেকে ২-এর মধ্যে পেয়েছেন ২ হাজার ৫৩৬ জন। ছেলেদের পাসের হার ৬৭ দশমিক ৪১ ও মেয়েদের ৬৭ দশমিক ৬৬ ভাগ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৬৯ দশমিক ৪২, মানবিকে ৬৫ দশমিক ১৮ ভাগ ও বাণিজ্য শিক্ষায় ৭৩ দশমিক ৩০ ভাগ।
২০০৩ সালে এইচএসসিতে গ্রেডিং পদ্ধতি চালুর প্রথম বছরে সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ হাজার ৮৫৯ জন। ২০০৪ সালে এ সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৪৭ জন হয়। ২০০৫ সালে ৫ হাজার ৫৩৪ জন, ২০০৬ সালে ৯ হাজার ৮৬৪ জন জিপিএ-৫ পান। ২০০৭ সালে ১১ হাজার ১৪০ জন, ২০০৮ সালে ২২ হাজার ৪৫ জন এবং চলতি বছর ২৮ হাজার ৬৭১ জনে উন্নীত হয়।
গতকাল ঘোষণার পরই তা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। আটটি শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের ওয়েবসাইটের ঠিকানা হলো- িি.িবফঁপধঃরড়হনড়ধৎফৎবংঁষঃং.মড়া.নফ। এছাড়া পরীক্ষার্থীরা মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করেন।