কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ইউনুস মিয়ার বসতঘরে হামলা চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয়েছে। বর্তমান কমান্ডার নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন গতকাল বৃহস্পতিবার এই হামলা চালান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান কমান্ডার নুরুল ইসলাম ১০/১২ জন লোক নিয়ে গতকাল বেলা একটার দিকে সাবেক কমান্ডার ইউনুস মিয়ার বসতঘরে হামলা চালান। মারধর করা হয় তাঁর পরিবারের সদস্যদের। ইউনুস মিয়া প্রতিরোধ করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সামান্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের চার ব্যক্তি আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রেপ্তার করা হয় ইউনুস মিয়া, তাঁর স্ত্রী সৈয়দ শামসুন্নাহার ও শ্যালক কামাল মিয়াকে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ডেপুটি কমান্ডার রফিকুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাজিতপুর শহরের থানা সড়কে তিন শতাংশ জমির ওপর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অবস্থিত। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এই জমির পেছনের অংশে সাবেক কমান্ডার ইউনুস মিয়া দীর্ঘদিন বসবাস করছেন। বর্তমান কমান্ডার নুরুল ইসলাম ও কমিটির অন্যরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভূমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সাবেক কমান্ডারকে একাধিকবার অনুরোধ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও সাবেক কমান্ডারকে চিঠি দিয়ে সংসদের ভূমি বুঝিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন বলে জানা যায়।

কিন্তু সাবেক কমান্ডার ইউনুস মিয়া জানান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভূমির ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ ইজারা নিয়ে ২০ বছর ধরে তিনি সেখানে বসবাস করছেন। নিয়মিত জমির খাজনা দিচ্ছেন। উচ্ছেদ ঠেকাতে গত ২৬ আগস্ট তিনি আদালতে মামলা করেন। ইউনুস মিয়ার আইনজীবী ওসমান গণি বলেন, বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতাবস্থা থাকা উচিত ছিল।

হামলা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে নুরুল ইসলাম বলেন, মীমাংসার জন্য ডাকা হলে উল্টো ইউনুস মিয়া আমাদের ওপর হামলা চালান। বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তারুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় কমান্ডার নুরুল ইসলাম একটি মামলা করেছেন। ইউনুস মিয়া, তাঁর স্ত্রী ও শ্যালককে গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।