এসিড অপরাধ সংক্রান্ত মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রবণতা রোধে সাজার মেয়াদ বাড়ানোসহ কয়েকটি সংশোধনীসহ মঙ্গলবার সংসদে ‘এসিড নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন-২০১০’ পাস হয়েছে। সংশোধীত আইনে জাতীয় এসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা ১৬ থেকে বাড়িয়ে ২৬ করা হয়। সাজার মেয়াদ ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৭ বছর করা হয়েছে। সর্বনিু সাজার মেয়াদ হবে অন্যুন্ত ২ বছর।

স্পিকার আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে আইন প্রণয়ন কার্যাবলীর শুরুতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন ‘এসিড নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) বিল -২০১০’ সংসদে উপস্থাপন করেন। পরে বিলটি কন্ঠভোটে পাস হয়। সংশোধিত আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০২ সালে এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণীত হয়। সেসময় আইনের ধারায় ১৬ সদস্য বিশিষ্ট ‘জাতীয় এসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল’ গঠনের বিধান রাখা হয়েছিল। কাউন্সিলের কার্যক্রমে আইন সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকায় এবং নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় মহিলা সমিতির সভানেত্রী ও জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির চেয়ারম্যানকে অন্তর্ভুক্ত করতে ২২ সদস্যের কাউন্সিল পুনর্গঠন করা হয়েছে।

একই ভাবে আইনের সংশোধনীতে জেলা কমিটিতে সংশ্লিষ্ট পিপি, জেলা মহিলা সংস্থার সভানেত্রী, স্থানীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিনিধি, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও নির্বাচিত মহিলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্য থেকে একজনকে সদস্য করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এরপর বস্ত্র মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী উত্থাপিত ‘দ্য জুট সংশোধন বিল-২০১০’ সংসদে পাস হয়।

সংশোধিত আইনে উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, রপ্তানির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিদ্যমান পাটের পাকা বেল তৈরির প্রেসগুলোর ১৮০ কেজি বেলের পরিবর্তে ১৫০ কেজি বেল তৈরি অসুবিধাজনক হওয়ায় পাট অধ্যাদেশ-১৯৬২ এর ২ (কিউ) ধারার এই সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে।