এক বছর নীরব থাকার পর আবারও জোরালো হচ্ছে ভৈরব জেলার দাবি। ভৈরবে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের আগমনকে ঘিরে এ দাবি আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। আজ রবিবার তিনি ভৈরব আসছেন। তিনি শহর রক্ষা বাঁধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করবেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর নিজ জন্মস্থানে এটি রাষ্ট্রপতির দ্বিতীয় সফর। গত বছর ১৩ জুলাই এক নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিতে তিনি ভৈরব এসেছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ভৈরবকে জেলা করার দায়িত্ব আমার নিজ কাঁধে তুলে নিলাম।’ রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব শাখাওয়াত উল্লাহ জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রপতি উপজেলার হাজি আসমত কলেজমাঠে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। পরে স্থানীয় এমপি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া তিনি রেলওয়ের ২৯ নম্বর সেতুর প্রশস্তকরণ কাজের উদ্বোধন এবং ‘জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজ’-এর শহীদ আইভি রহমান ছাত্রীনিবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। সবশেষে তিনি ‘জিল্লুর রহমান ভৈরব শহর রক্ষা বাঁধ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এদিকে ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের বিষয়টি আবারও রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আজ জেলা করাকে এলাকাবাসীর প্রধান দাবি হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতির কাছে মানপত্র দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সায়দুল্লাহ মিয়া বলেন, ‘অবশ্যই ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন আমাদের এক নম্বর দাবি। গত বছর রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায় জেলার বিষয়টি আমরা উপস্থাপন করেছিলাম। রাষ্ট্রপতিও সেই দায়িত্ব নিজ কাঁধে নিয়েছিলেন। যার ফলে গত বছরের ১২ অক্টোবর সরকার ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। আজ আবারও আমরা জেলার বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপন করব।’
ভৈরব উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য সচিব আব্দুল হেকিম রায়হান ও ছাত্রলীগ সভাপতি খলিলুর রহমান লিমন বলেন, ‘যেহেতু রাষ্ট্রের প্রধান আমাদের ভৈরবের সন্তান, সেহেতু আমরা এখনো অপেক্ষা করছি, নিয়মতান্ত্রিকভাবেই ভৈরব জেলা হবে। কিন্তু অপেক্ষারও একটি সীমা আছে। সেই সীমা পেরিয়ে গেলে আমরা অবশ্যই আন্দোলনের মাধ্যমে সেই দাবি আদায় করব।
– কালের কন্ঠ
voirob ke jela kora ekta chorom faltu dcsn…….. khomotar jor dekhano …….. jotoshob vondami…….
সাবরিনা আপা আপনার সাথে একমত ।
If somebody become willing to be seperate, we should allow.
অবশ্যই না । কিছু স্বার্থান্বেষীদের ব্যাক্তি স্বার্থ রক্ষায় সরকার একাজ করতে পারেনা। অযথা আঞ্চলিক কোন্দল বাড়ানোর কোন মানে নেই । এতে সমস্যা বাড়বে ।