আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আসুন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিই, এখনই…’। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, সহসভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক এ আর খান এবং মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।সংবাদ সম্মেলনে ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে একটি জাতীয় নীতিমালার খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,বর্তমানে সারা বিশ্বে মোট মৃত্যুর প্রায় ৬০ শতাংশই ঘটছে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে। এসব রোগ এখনই প্রতিরোধ করতে না পারলে ২০২০ সাল নাগাদ এ মৃত্যুর হার ৭৩ শতাংশে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। বর্তমান বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে ২০২০ সালে তা এক কোটি ১১ লাখে পৌঁছাবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,ডায়াবেটিস দুই ধরনের_টাইপ-১ ও টাইপ-২। বাংলাদেশে টাইপ-২ ধরনের রোগীর সংখ্যা প্রায় ৯৫ শতাংশ। খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতির উন্নয়ন ও শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে এ ধরনের ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়। যেসব কারণেডায়াবেটিস হয় সেসব বিষয়ে সচেতন থাকলে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রতিরোধ করা সম্ভব। ডায়াবেটিক সমিতির বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের মাত্র ২৫ ভাগ রোগীকে স্বাস্থ্যসেবায় আনা সম্ভব হয়েছে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গণসচেতনতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান।

-কালের কন্ঠ