জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ বলেছেন, হাওরের উন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিক। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলার গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, নদী খননসহ প্রতিটি হাওর গ্রামে ভাঙন রোধে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এলাকার উন্নয়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি গত মঙ্গলবার ও গতকাল কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইন ও ইটনায় বিভিন্ন ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ ছাড়া তিনি পৃথক পৃথকভাবে উপজেলায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তাঁদের উদ্দেশে বলেন, তিনি নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাবেন। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে, তিনি যে দলেরই নেতা-কর্মী হোন না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকার উন্নয়নে কেউ যেন দুর্নীতির আশ্রয় নিতে না পারেন, সে দিকে খেয়াল রাখবেন তিনি।
স্পিকার বলেন, ‘আপনারা সরকারি কর্মকর্তারা কোনো দুর্নীতিতে লিপ্ত হবেন না। আপনারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে সঠিক উন্নয়নকাজ বাধাগ্রস্ত হবে।’
মঙ্গলবার বিকেলে ও গতকাল মিঠামইন ও ইটনা উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন যথাক্রমে মিঠামইন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদেকুর রহমান ও মো. শাহাদাৎ হোসেন। মতবিনিময় সভায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা বক্তব্য দেন।
গতকাল বিকেলে শহরের খরমপট্টির বাসভবনে প্রত্যন্ত এলাকার ১২ জন দুস্থ নারী-পুরুষের প্রত্যেকে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পাঁচ হাজার করে টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করেন স্পিকার আবদুল হামিদ।
ধন্যবাদ মাননীয় স্পিকার!