1448265624আজ ১৩ জানুয়ারী ২০১৬, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গো-খামারীদের মাঝে ৫% সুদে ২০০ কোটি টাকার ঋণ প্রদান কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেছেন । এতে দেশে গো-দুগদ্ধ সম্পদের ব্যাপক বিস্তার এবং আত্ন কর্মসংস্থান ঘটবে বলেই আমি বিশ্বাস করি ।  বাংলাদেশের আয়তনের ১২% এলাকা নিয়ে গঠিত হাওরাঞ্চলে দেশের মোট গবাদি পশুর ২২% এবং হাঁস ছিল ২৪% ।  কিশোরগঞ্জ জেলার ‘অষ্টগ্রামের পনির’ জগত বিখ্যাত ছিল । কিন্ত বিভিন্ন কারনে তা এখন ক্রম হ্রাসমান । দিগন্ত বিস্তৃত ‘গো চারণ ভূমি’, ‘গো-পাট’ ও পতিত জায়গা সবই চলে এসেছে ধান চাষাধীনে ।

হাওরাঞ্চলে আগে গরু পালন ছিল মাঠে চরানো মাত্র ।  এখন লালন পালন করতে হয় । সে সুযোগ হাওরাঞ্চলে আছে।   হাওরাঞ্চলে বর্তমানে ‘গোলা ভরা ধান’ আছে সত্য কিন্ত ‘গোয়াল ভরা গরু’ আর ‘পুকুর ভরা মাছ’ হয়ত আর তেমনভাবে পাবেন না । বিরাট বিশাল জমিগুলোর বড় বড় আইল, ফাঁকা জায়গায় প্রচুর ‘চাইল্লা’ ঘাস জন্মে । হাওরের বিখ্যাত ‘চাইল্লা’ ঘাস খেলে গাভী অধিক দুধ দেয় বলে প্রচলিত রয়েছে । উন্নত জাতের ঘাস চাষের সুযোগও আছে এবং এটি লাভজনক চাষ হবে । ধানের খড় ইউরিয়া ট্রিট্ম্যান্টের মাধ্যমে বর্ষায় গরুকে খাদ্য হিসাবে দেয়া যাবে ।

পাবনার শাহজাদপুর আর হাওরাঞ্চল ভৌগলিকভাবে প্রায় একই রুপ গঠন; বছরের একটা সময় পানির নীচে থাকে । শাহজাদপুরে গো সম্পদ সম্প্রসারণের মূল কারন বলতে গিয়ে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ড সাইফুল ইসলাম বলেন, হাওরাঞ্চলে প্রয়োজন উন্নত জাতের গরুর কৃত্তিম প্রজননের মাধ্যমে দুধাল গাভীর জাত সম্প্রসারণ, ঋন দান এবং প্রশিক্ষণ প্রদাণ ।  ড সাইফুল ইসলাম দীর্ঘ দিন হাওরাঞ্চলের কিশোরগঞ্জের ইটনায় ভেটেরিনারি সার্জন হিসাবে কর্মরত থেকে তাঁর অভিজ্ঞতায় এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন ।

আমরা গো-খামারীদের মাঝে ২০০ কোটি টাকা ৫% সুদের ঋন বিতরণের কার্যক্রম হাওরাঞ্চলেও সম্প্রসারণের জোড় দাবী জানাচ্ছি ।