মন্ত্রিসভা আজ সোমবার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে ‘জাতীয় বৃক্ষ’ নির্ধারণ করবে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার বিবেচনার জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ছয়টি বৃক্ষের নাম উপস্থাপন করবে। এগুলো হলো: কদম, তাল, হিজল, পলাশ, আম ও শিমুল। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে জাতীয় ফুল, ফল, পশু, পাখি, মাছ প্রভৃতি নির্ধারণ করা হয়। তবে জাতীয় বৃক্ষ নির্ধারিত হয়নি এখনো। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে জাতীয় বৃক্ষ রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ একটি বৃক্ষশোভিত দেশ হওয়ায় এবং পরিবেশ সংরক্ষণের সঙ্গে বৃক্ষ ও বনায়নের বিশেষ সম্পর্ক থাকায় জাতীয় বৃক্ষ নির্ধারণের বিষয়টি সরকারের মধ্যে আলোচনায় আসে। সরকার মনে করছে, জাতীয় বৃক্ষ নির্ধারণের মাধ্যমে বৃক্ষ ও তা সংরক্ষণের বিষয়ে মানুষকে আরও সচেতন ও সংবেদনশীল করা সম্ভব হবে।

জাতীয় বৃক্ষ সম্পর্কে প্রস্তাবের জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় প্রথমে প্রধান বন সংরক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছিল। তিনি বন অধিদপ্তরে সভা করেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত নিয়ে বট, গর্জন ও শালবৃক্ষের নাম প্রস্তাব করেন। পরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সভা করে। ওই সভায় কদম, তাল, হিজল ও পলাশের নাম প্রস্তাব হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। পরে আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে আম ও শিমুলের নাম যুক্ত করা হয়।

মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য তৈরি করা প্রস্তাবে এসব বৃক্ষের উৎপত্তি, গুণাগুণসহ বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে ২১টি দেশের জাতীয় বৃক্ষের একটি তালিকা। এই তালিকায় দেখা যায়, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির জাতীয় বৃক্ষ হচ্ছে ওক। কানাডার ম্যাপল, ভারতের বট, পাকিস্তানের সেড্রাস ডিওডর, শ্রীলঙ্কার নাগেশ্বর, ভুটানের সাইপ্রেস, সৌদি আরবের খেজুরগাছ, লেবাননের সেডার, কিউবার জাতীয় বৃক্ষ কিউবান রয়াল পাম।

সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকে জাতীয় বৃক্ষ নির্ধারণ ছাড়াও বন আইনের একটি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। এই প্রস্তাবে প্রতিটি বনের সামাজিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার বিধান প্রবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি বিষয়ে অবহিতকরণ এবং বিবিধ ও অনির্ধারিত বিষয়ে আলোচনা হবে

– প্রথম আলো