নাসার গবেষকরা জানিয়েছেন, অন্য কোনো গ্রহে নয়, পৃথিবীর বুকেই নিশ্চিত এলিয়েন খুঁজে পাওয়া যাবে। ক্যালিফোর্নিয়ার জোসমাইট ন্যাশনাল পার্কের মনো লেকের তলদেশের বিষাক্ত আর্সেনিকে বেড়ে ওঠা ব্যাকটেরিয়াই এলিয়েনদের খোঁজ দিতে পারে। গবেষকদের মন্তব্য, এলিয়েনরা মানুষের মতোই পৃথিবীর বুকে মানুষের ছায়াসঙ্গী হিসেবে বাস করছে। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের।

ড. লুইস ডার্টনেল আরও জানিয়েছেন, অবশ্যই এলিয়েন আছে, আর সে এলিয়েনরা আমাদের মতোই ঘরবাড়ি নিয়ে আছে

নাসার গবেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর ‘অজানা জীবন’-এর আবিষ্কারই এলিয়েনের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারে। বিষাক্ত পরিবেশে ব্যাকটেরিয়ার খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করে এলিয়েন আছে এবং পৃথিবীর বুকেই আছে। এই আবিষ্কার ‘শ্যাডো’ তত্ত্বকে প্রমাণ করে। শ্যাডো তত্ত্ব অনুসারে আমাদের ছায়াসঙ্গী হিসেবে আমাদের সঙ্গেই এলিয়েনরা বসবাস করছে। তাদের জন্য শত্রুভাবাপন্ন এবং বসবাসের অযোগ্য পরিবেশের মধ্যেই এলিয়েনরা রয়েছে। জানা গেছে, পুরোপুরি অজানা ছিল এমনই একটি ব্যাকটেরিয়া সম্প্রতি খুঁজে পেয়েছেন নাসার গবেষকরা।

এই ব্যাকটেরিয়া টিকে আছে এমন এক পরিবেশে যে পরিবেশ এমনই বিষাক্ত যে সেখানে কোনো প্রাণ-ধারণ করা সম্ভব নয়। গবেষকরা এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার জোসমাইট ন্যাশনাল পার্কের মনো লেকের তলদেশে। আর্সেনিকপূর্ণ এবং ভয়ঙ্কর বিষাক্ত এ পরিবেশেই টিকে আছে এই ব্যাকটেরিয়া। গবেষকরা জানিয়েছেন, এখানে যেভাবে এই ব্যাকটেরিয়াগুলো বিষাক্ত আর্সেনিককে অবলম্বন করে টিকে আছে এভাবেই অন্যান্য গ্রহের চরম প্রতিকূল অবস্থায়ও এদের জীবন গড়ে উঠেছে। লন্ডনের সেন্টার ফর প্লানেটারি সায়েন্সের অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট ড. লুইস ডার্টনেল জানিয়েছেন, ব্যাকটেরিয়া যদি আর্সেনিক মেটাবলিজম নিয়ে তৈরি হতে পারে তবে সেখানে অন্যান্য প্রাণের উদ্ভব ঘটাও সম্ভব। ড. লুইস ডার্টনেল আরও জানিয়েছেন, অবশ্যই এলিয়েন আছে, আর সে এলিয়েনরা আমাদের মতোই ঘরবাড়ি নিয়ে আছে। ‘অ্যাস্ট্রোবায়োলজি ফাইন্ডিং হুইচ উইল ইমপ্যাক্ট দ্য সার্চ ফর এভিডেন্স অফ এক্সট্রাটেরিস্ট্রিয়াল লাইফ’ নামের প্রেস কনফারেন্সে এই ঘোষণা দেবে নাসা।

সূত্রঃ thebengalitimes.ca