পৃথক ঘটনায় লালমোহন, দৌলতপুর, সাতক্ষীরা, নেত্রকোনা ও গাইবান্ধার সাঘাটায় ৫ জন খুন হয়েছে। এ ঘটনায় দৌলতপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
ভোলা ও লালমোহন : লালমোহনে মঙ্গলবার রাতে ইউনুছ সাজি নামে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার ভোরে পথচারীরা ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের ডাওরী বাজারের দক্ষিণ পাশের বটতলা নামক স্থানে ইউনুছ সাজির লাশ পরে থাকতে দেখে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন সাজিকে হত্যা করেছে।
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে রঙিলা বেগম নামের এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী রহিদুল ইসলাম তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নেত্রকোনা : বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ফকিরের বাজারে পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় চলিল্গশ কাহনীয়া গ্রামের কলেজ ছাত্র মিজানুর রহমান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা গেছে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে পিতা নওয়াব আলী মিয়া ও ছোট ভাই মোঃ হানিফ মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নওয়াব আলী মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চর কামারুয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
সাঘাটা (গাইবান্ধা) : সাঘাটায় পারিবারিক কলহে ছোট ভাইয়ের ধারালো ছোরার আঘাতে বড় ভাই খুন হয়েছে। উপজেলার ডিমলা পদুমশহর গ্রামে মজদার রহমানের সঙ্গে ছোট ভাই মাহবুবর রহমানের কলহ চলে আসছে। ঘটনার দিন ছোট ভাই মাহবুবর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে তার পর ভাই মজদারকে বুকে ছোরা দিয়ে আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হলে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মঙ্গলবার সাঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার আশাশুনীতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ পূর্ণিমা দাশকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী মিলন দাশ। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বলভপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিয়ের পর থেকে যৌতুক হিসেবে একটি মোটরসাইকেল দাবি করে আসছিল মিলন। ওই দাবি পূরণ করতে না পারায় পূর্ণিমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।