রাজ্জাক : বুলবুল আহমেদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। এর মধ্যে একটি ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’। এর পরিচালক-প্রযোজকও ছিলেন তিনি। অভিনেতার পাশাপাশি বুলবুল যে ভালো নির্মাতাও, তা এ ছবিতে প্রমাণ করেছিলেন। তার পরিচালনা দেখে অভিভূত হয়েছিলাম। গুণী মানুষটি আজ আর আমাদের মাঝে নেই। এটা সবার জন্যই বেদনাদায়ক।
আবুল হায়াত : বুলবুুল আহমেদের সঙ্গে আমার পরিচয় ১৯৬৮ বা ১৯৬৯ সালের দিকে। অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ে বেশ কিছুদিন কাজও করেন। অনেক টিভি নাটকে তার সঙ্গে অভিনয় করেছি। তার চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছি না। আমাদের অভিনয় জগতে একটি নক্ষত্রের পতন হলো।
চাষী নজরুল ইসলাম : বৃহস্পতিবার রাতে মুঠোফোনে জানলাম আমার দেবদাস আর নেই। মানতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু এ অমোঘ নিয়তি, না মেনে কোনো উপায়ও নেই। তার রেখে যাওয়া কাজগুলো অমর হয়ে থাকবে।
শবনম : বুলবুল আহমেদের মতো অভিনেতা আর নেই, এটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু তার এ শূন্যতা অপূরণীয়। আমরা সবাই যাকে দেবদাস বলতাম, তাকে কীভাবে বিদায় দেব? খুব ভালো এক অভিনেতাকে হারালাম।