শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রীকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের রাউতি গ্রামের কোরআনে হাফেজ আতাউর রহমান ভূঁইয়ার (৩৩) গলিত লাশ উদ্ধার করেছে নান্দাইল থানা পুলিশ। তিনি শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন।পুলিশ ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার শ্বশুরবাড়ি থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে ময়মনসিংহের নান্দাইলের আচারগাঁও ইউনিয়নের বনুড়া বিলে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

আতাউর রহমান ভূঁইয়া ওরফে আনিসুর রাউতি পশ্চিমপাড়া মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শিশুদের গণশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষকতা করতেন। তাঁর আড়াই বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। পাঁচ বছর আগে তিনি নান্দাইলের মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের দত্তপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে সায়মা আক্তারকে বিয়ে করেন।নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আতাউর রহমানের মুঠোফোন বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাঁর খোঁজে শ্বশুরবাড়িতে ফোন দিলে সেখানে তিনি যাননি বলে জানা যায়।

শনিবার সকালে রাউতি গ্রামে গেলে রাউতি পশ্চিমপাড়া মসজিদের গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষার্থী নাহিদ, সালমাসহ কয়েকজন জানান, তাদের হুজুর (আতাউর) খুব ভালো মানুষ ছিলেন। রাউতি গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. শাহজাহান মিয়াসহ কয়েকজন জানান, গ্রামে এই পরিবারের কোনো শত্রু নেই। এলাকাবাসীর মতে, এ ঘটনার মধ্যে জটিল কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে। হত্যা মামলার বাদী মো. হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার ভাইয়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’

নান্দাইল মডেল থানার ওসি খন্দকার জাহিদুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ব্যাপারে নিহত আতাউর রহমানের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

-কালের কন্ঠ