ঋতু চক্রের আবর্তনে বিল, ঝিল, হাওরের রুপে পরিবর্তন ছাপ ফেলেছে এখানকার মানুষের মনে। তারা অনুভব করে এখানকার মাটিতে আকাশে বাতাসে এক অতিন্দ্রিয় পরশের ব্যঞ্জনা। ঝড়ো বাতাসে হাওরের জলে তরঙ্গের জলোচ্ছ্বাস বয়ে নিয়ে আসে অজানার হাতছানি।

আর ঝড়ো বাতাসে নরসুন্দা নদী যে কি নিয়ে আসে তা শুধু জানে কিশোরগঞ্জের মানুষ!

এই নরসুন্দা নদী একদিন ছিল মসনদে আলা ঈশা-খাঁর নৌপথ। এই মহা বীর ঈশা-খাঁ র নৌবহর শ্বেতশুভ্র পাল তুলে ব্রহ্মপুত্র থেকে নরসুন্দা এসে চলে যেত জঙ্গল বাড়ীর উদ্দেশ্যে। ইতিহাস কি বিস্ময়কর পরিবর্তন। সেই নরসুন্দা আজ মজে যাওয়া একটা গৌ্রব দীপ্ত নদীর খাত মাত্র ।

আজ কিশোরগঞ্জের শহরে যে একটি নদী আছে তা আমরা সহজে খুঁজে পাই না মনে হয় যেন এটি একটি চোরাবালি। চারদিক ভরাট হতে হতে আর ভরাট হওয়ার জায়গা নেই এমনই অবস্হা আজ এ নদীর। নদীর একটা গন্ধ থাকে সেটিও এখন দূগন্ধে পরিপূর্ণ।

আজ থেকে দশ বছর আগেও শুনেছি নরসুন্দা নদী খনন করার কথা এবং আজও সেই একই কথা শুনছি। আমাদের পাশের জেলা ময়মনসিংহে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদী সেটির অবস্হা নরসুন্দা থেকে অনেক ভাল এলাকার মানুষ তার পানি ছুঁয়ে দেখতে পারে কিন্তু নরসুন্দা নদীর শুধু কচুরিপানা ছোঁয়া যায় এর বেশি কিছু ছোঁয়া যায় না আর যদি পানি ছুঁতে চাই তাইলে তো……

যাক আমরা কিশোরগঞ্জ বাসি চাই নরসুন্দা নদী ঈশা-খাঁ র মত যেন হয়, আমরা যেন একটু গুরুদয়াল কলেজ থেকে নৌকা দিয়ে সতাল পর্যন্ত যেতে পারি। আর সেই সাথে যেন একটি মনো্রম পার্ক হয় তাহলে বিকেল বেলায় বসে বাদাম খাওয়া যাবে ।

আমরা নরসুন্দা নদীর জীবন ফিরে পিতে চাই ।