মাত্র আধা ঘণ্টার বৃষ্টিতেই কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নালার পানি সরানোর ব্যবস্থা না থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নালার এই ময়লা-নোংরা পানি বাসা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে। এ পানি নামতে সময় লাগে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা। এ অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এ সমস্যা সমাধানে আজও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এতে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

ছয় মাস আগে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নগুয়া-এতিমখানা সড়কটি কার্পেটিং করে মেরামত করা হয়। কিন্তু এ সড়কের পাশের নালার পানি সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে সামন্য বৃষ্টিতেই সড়কটি নালার পানিতে তলিয়ে যায়। এ সড়কটি ছাড়াও শহরের শোলাকিয়া, খরমপট্রি, নগুয়া, বত্রিশ, বযলা, তারাপাশা, গাইটাল, পুরাতন কোর্ট, কাটাহালি, বড়বাজার এলাকায় বৃষ্টি হলেই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীকে হাঁটুর ওপর কাপড় তুলে যাওয়া-আসা করতে হচ্ছে।

নগুয়া এলাকার বাসিন্দা এম এ বারী খান জানান, পৌরসভার গাফিলতির কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই নালার পানি ও বৃষ্টির পানি মিশে একাকার হয়ে বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ে। অপরিকল্পিতভাবে নালা তৈরির কারণে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শোলাকিয়া এলাকার আবদুল হান্নান জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই নালা উপচে বৃষ্টির পানি বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এলাকার সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ অনেক লোকজন যাতায়াত করে।

পৌর চেয়ারম্যান আবু তাহের মিয়া বলেন, ‘পৌর তহবিলে অর্থের সংকট রয়েছে। অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। তার পরও আমাদের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে কিছু কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।’

প্রথম আলোঃ ২৪-৭-২০১০