সোমবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফোন করে হরতালের সময় একজন সাংসদের গ্রেপ্তারের খবর জানান। তিনি বলেন, ‘সংসদ চলাকালে এভাবে একজন সাংসদকে গ্রেপ্তার করতে পারেন না। বিএনপির মহাসচিবকে আমি জানাই, সংসদ এলাকার মধ্যে হলে কোনো সাংসদকে গ্রেপ্তারের আগে স্পিকারের অনুমতি প্রয়োজন হয়। বাইরে তা লাগে না, তবে বিষয়টি স্পিকারকে অবহিত করতে হয়।’ বিষয়টি নিয়ে স্পিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেন।

গণমাধ্যমকে আমি বেশ গুরুত্ব দিই, সম্মান দিই। কোনো অংশে সাংবাদিকদের গুরুত্ব কম দিই না। সে জন্য আমি আশা করি, আমার সম্পর্কে কিছু লিখলে যেন তা যাচাই করে লেখেন।’

স্পিকার বলেন, পরে এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, ওই সাংসদকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ বিএনপির মহাসচিবকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, ‘স্পিকার বলেছেন, আপনারা মিছিল করেন কেন? এ ধরনের কোনো কথাই হয়নি। সারা জীবন তো আমি নিজেই মিছিল করেছি। মিছিলের বিরুদ্ধে কেন বলব?’
ক্ষুব্ধ কণ্ঠে স্পিকার বলেন, ‘দেশের মানুষই বলবেন, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে আমি দায়িত্ব পালন করি। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাই—এমন ভাষায় কথা বলতে হবে।’ তিনি সংসদের কার্যক্রম নিরপেক্ষভাবে চালাতে সরকার ও বিরোধী দলের সহযোগিতা চান। স্পিকারের নিরপেক্ষতা না থাকলে তাঁর আর কিছুই করার থাকে না বলেও মন্তব্য করেন আবদুল হামিদ।

স্পিকার আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমার কোনো মোহ নেই। মোহ নিয়ে আমি রাজনীতি করিনি। সরকার ও বিরোধী দল কারও পক্ষ নেওয়ার আমার সুযোগ নেই।

ক্ষোভের মুখে স্পিকার আঃ হামিদ আরো বলেনঃ

‘আমি নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। কোনটা কার পক্ষে বা বিরুদ্ধে যাবে, সেটা নিয়ে ভাবি না।’ সাংসদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন। যদি মনে হয়, আমাকে দিয়ে সুবিধা হচ্ছে না। তাহলে বিদায় করে দিতে পারেন। কোনো মোহ নিয়ে রাজনীতি করি না।’