কিশোরগঞ্জ পৌরসভাধীন তিনটি কলেজের মধ্যে ওয়ালীনেওয়াজ খান একটি,  প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৮২, প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট সমাজসেবী, রাজনীতিবিদ জনাব ওয়ালীনেওয়াজ খান । ১০ জন ছাত্র নিয়ে এ যাত্রা শুরু হয়।বর্তমানে  তার কলেবর অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।সরকার থেকে কলেজের স্বীকৃতি দান পাওয়া যায় ১৯ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৫ খৃঃ। প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন জনাব মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। তারপরে দীর্ঘ সময়ে অধ্যক্ষের গুরুদায়িত্ব পালন করেঞ্ছেন জনাব মোঃ আশরাফউদ্দিন।বর্তমান অধ্যক্ষ জনাব মোঃ সফিউর রহমান- ৬-৭-৮৯ থেকে কর্মরত। স্থানীয় মহিলা কলেজের ও গুরুদয়াল কলেজের সম্মানীয় শিক্ষকগণ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্ঘ কাল উক্ত কলেজের হাল ধরে এতদূর নিয়ে এসেছেন। এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রতিনিধি জনাব আয়াল খান এর স্মৃতিচারণঃ ১৯৮১ সাল।  স্থানীয় গুরুদয়াল কলেজের জাতীয়করণ সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করলো সাধারণ ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগে।

সাবেক মন্ত্রী ডঃ ফজলুর করিম সাহেব সহ সকল স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সমবেত প্রচেষ্টা চালালেন। এগিয়ে এলেন তৎকালীন মহকুমা প্রশাসন। মহকুমা প্রশাসক জনাব মোঃ নূরজ্জামান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হল বেশ কটি সভা। সভার সিদ্ধান্ত ব্যক্তি নামে কোন কলেজ প্রতিষ্ঠা হবেনা। গেল ৮১। বদলী হয়ে গেলেন মহকুমা প্রশাসক নরুজ্জামান সাহেব। স্থলাভিষিক্ত হলেন জনাব ম, আ, মোতালেব মিয়া। বেশ কটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর কলেজ প্রতিষ্ঠার বাস্তব প্রেক্ষাপট অনুধাবন করলেন তিনি সঠিক ভাবে। প্রস্তাব করলেন প্রয়োজনীয় ভূমি এবং নগদ তিন লক্ষ টাকা, যিনি দান করবেন তার নামে কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। উপস্থিত জনতার মাঝে এরকম দানে সক্ষমদের সাড়া মিললোনা। ভেবে দেখলাম দীর্ঘদিন যে স্বপ্ন লালিত হচ্ছে মনে তা বাস্তবায়নের সুবর্ণ সুযোগ যেন আজ আমাদের দ্বার প্রান্তে। তাই পিতৃপ্রতীম পিতৃব্য জনাব ওয়ালী নেওয়াজ খানকে অবহিত করলাম সে প্রস্তাব।

খান সাহেব রাজি হয়ে গেলেন। তিনি যেন এমন একটি মহান কর্মের জন্য উন্মুখ হয়েই ছিলেন। ১৯/৮/৮২ তারিখে কিশোরগঞ্জ শিল্প কলা একাডেমী মিলয়াতনে অনুষ্ঠিত সভায়সাগ্রহে উপস্থিত হয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠার আলোচনায় অংশ নিলেন। শোলাকিয়া নিবাসী জনাব নুরুল ইসলাম তারা মিয়ার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তিনি সবিনয়ে ঘোষনা করলেন তার অঙ্গীকার।

তথ্যের উৎসঃ বার্ষিকী ৯২- ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজ, কিশোরগঞ্জ,  সম্পাঃ মোঃ মিজানুর রহমান মিজান।