চার দিন আগে ফুটবল খেলার বিরোধ নিয়ে কিশোরগঞ্জের সহস্রাধিক ক্ষুব্ধ জনতা গতকাল সোমবার সদর উপজেলার সাদুল্যাচর বাজারে কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ মহাসড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। এতে কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার সঙ্গে বৃহত্তর সিলেট ও চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

অবরোধে অংশগ্রহণকারীদের ভাষ্যমতে, গত ২৯ জুলাই নেত্রকোনার আঠারবাড়ীতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে কলেজ মাঠে আয়োজিত ফুটবল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় কেন্দুয়া একাদশ ও কিশোরগঞ্জের নীলগঞ্জ একাদশ অংশ নেয়। ৪০ মিনিটের মধ্যে একটি গোল দেয় কেন্দুয়া একাদশ। এরপর রেফারির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে নীলগঞ্জ একাদশের খেলোয়াড়েরা মাঠ থেকে বেরিয়ে আসে। তখন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ও সমর্থকসহ স্থানীয় দর্শকেরা নীলগঞ্জের খেলোয়াড়দের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে। হামলায় নীলগঞ্জ একাদশের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও সমর্থকসহ শতাধিক লোক আহত হয়।

নীলগঞ্জ একাদশের সমর্থক ও সদর উপজেলার মাইজকাপন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. তারু মিয়া বলেন, খেলা ছিল ৯০ মিনিটের। ৪০ মিনিটের পর মারামারি হলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পুরো খেলা শেষ না হতেই সেখানকার একজন সাংসদ কীভাবে কেন্দুয়া একাদশকে বিজয়ীর পুরস্কার দেয় তা বোধগম্য নয়।

গত ২৯ জুলাইয়ের খেলাটি বাতিল করে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা শুরুর দাবিতে নীলগঞ্জ একাদশের খেলোয়াড় ও এলাকাবাসী কয়েক দিন ধরে কিশোরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন, বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেন। দাবি আদায়ে গতকাল বেলা ১১টা থেকে নীলগঞ্জ ও আশপাশের এলাকার কয়েক হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে সাদুল্যাচর বাজারে কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ সড়কে অবরোধ করে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।