এক সময়ে মানুষ টার জীবনে জৌলুশের কোন কমতি ছিলো না, কি অর্থে, বিত্তে , কি মননে, কবিতা লিখতেন। গ্রামের উঠানে, লন্ঠনের আলোতে চলতো কবিতা পাঠের আসর। কেউ কবিতার মর্মে আবেগাপ্লুত হতেন, কেউবা আবার না বুঝেই “বাহার” দিতেন পয়ারে। উনার লিখাগুলো বেশির ভাগই ছিলো রাজনৈতিক কুলাংগার দের বিরুদ্ধে। ওরা বলতো- হাস্যতামাসার পাত্র, কবি একজন সঙ। একবার এই সাহিত্য রসিক মানুষ টা হঠাৎ করেই ক্ষেপে গিয়ে স্থানীয় নির্বাচন কতৃপক্ষের তোয়াক্কা না করেই, নিজের প্রতীক “মোমবাতি” নিজেই বরাদ্দ করে, নিজ খরচে পোষ্টার ছেপে সেটে দেন উনার নির্বাচনী এলাকায়।“ সরকারি জয়” এর দেখা উনার মেলেনি। কিন্ত জ়য় করেছিলেন অনেকের মন। পোষ্টারে ছিলো নিজের লিখা কবিতা-

“অহংকার আমাতে নাই, সকলে মোরা ভাই ভাই
মাতা পিতা পুষ্পভার, জনসেবার মাঠ আমার
সবাই আমার সালাম নিন, মোমবাতি মার্কায় ভোট দিন”।

চলে যাবার আগের সপ্তাহে, আমার কাছে এসে বাচ্চা ছেলের মতো হাউমাউ করে কেদে বলেছিলেন…”আমার কবিতাগুলুর অপমৃত্যু হতে দিও না”। কেনো জানি কবিকে আজ বারে বারে মনে পড়ছে অনেক। অনেক প্রয়োজন ছিলো আপনার। যেখানেই থাকুন অনেক ভালো থাকুন, কবি।