কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে লোক না থাকায় জেলার ১০৮টি ইউনিয়নের মানুষ সঠিক সময়ে ভূমি খারিজ করতে না পেরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।বিশেষ করে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা, ভৈরব, বাজিতপুর, কটিয়াদী ও হাওরের ইটনা, অষ্টগ্রাম, মিঠামইন উপজেলায় মূল্যবান ভিটেবাড়ি, চান্দিনা ভিটেসহ কৃষিজমি কেনার পর এগুলো সঠিক সময়ে খারিজ না হওয়ায় জমির সঠিক মালিকানা প্রদর্শন করা যাচ্ছে না।

ফলে অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংক ঋণ সহ অন্যান্য ব্যবসায়িক কাজ করতে গিয়ে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন।জেলা প্রশাসকের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় একজন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মরত ছিলেন। অন্য ১২টি উপজেলায় সহকারী কমিশনার পদটি শূন্য ছিল।

গত সপ্তাহে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অন্যত্র বদলি হওয়ায় এখন ১৩টি উপজেলায় এ পদে লোক নেই। বিভিন্ন উপজেলার ভুক্তভোগী লোকজন জানান, সহাকারী কমিশনার (ভূমি) না থাকায় তাঁদের মাসের পর মাস জমি খারিজের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

ফলে জমা খারিজের কাজটি করা তাঁদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সময়ের অভাবে সঠিক সময়ে অনেকের জমির নাম খারিজ করা হয়ে ওঠেনা।

prothom alo