কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় শতাধিক লোক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ওয়ার্ড কমিশনার রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৭ জন কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের সকলেই কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বয়লা, সতাল ও তারাপাশা এলাকার বাসিন্দা। এলাকাবাসী জানান, রোববার বিকাল পর্যন্ত শতাধিক লোক আক্রান্ত হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আক্রান্তরা জানান, তারা অনেকেই শনিবার বিকেল থেকে পেটে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। সময় গড়ানোর সাথে সাথে বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

হাসপাতালের দেয়া তথ্য মতে রোববার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৪৩ জনকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় এবং বর্তমানে ৩৭ জন চিকিৎসাধীন আছে। দুজনকে শহরে বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যার তুলনায় রোগী বেশি হওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সেবিকারা। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আব্দুল মজিদ বলেন, “ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২ শয্যার বিপরীতে বর্তমানে ৩৭ জন রোগী আছেন। শয্যা সংকটের কারণে তাদেরকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।”

জেলার সিভিল সার্জন ডা. দ্বীন মোহাম্মদ হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীদের দেখতে যান। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ৭ সদস্যের একটি চিকিৎসক দলকে ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, “রোগীদের কথা শুনে ও রোগের লক্ষণ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, সরবরাহ লাইনের পানি থেকে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ও রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া কাঞ্চন ডায়রিয়া আক্রান্তদের দেখতে হাসপাতালে যান। তিনি রোগীদের খোঁজ খবর নেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর