কিশোরগঞ্জ-নিকলী সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে চাঁদাবাজরা লাঠি হাতে গাড়ি আটকে রেখে চাঁদা আদায় করছে। চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সিএনজি-অটোরিকশা চালকেরা। গত কয়েক দিনে চাঁদাবাজদের হামলায় কয়েকজন সিএনজিচালক আহত হয়েছেন। সিএনজি চালকেরা জানান, কিশোরগঞ্জ থেকে নিকলী পর্যন্ত সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে চাঁদাবাজি হচ্ছে। আর সদরের কর্শা কড়িয়াইল আমতলী বাজারে অফিস খুলে চাঁদা তুলছে তারা। চাঁদাবাজরা লাঠি হাতে গাড়ি আটক করে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা না দিলে চালকদের মারধর পর্যন্ত করে থাকে।

গত শুক্রবার কিশোরগঞ্জ থেকে দুইজন সাংবাদিক ও কিশোরগঞ্জ কোর্টের একজন আইনজীবী একটি সিএনজি অটোরিকশায় নিকলী যাওয়ার পথে আমতলী বাজারে গেলে লাঠি হাতে কয়েকজন চাঁদাবাজ গাড়িটি আটকে চালকের কাছে চাঁদা দাবি করে। এ সময় চালক ও গাড়িতে থাকা আইনজীবীসহ সাংবাদিকেরা এর প্রতিবাদ করেন। এতে প্তি হয়ে কয়েকজন চাঁদাবাজ আইনজীবী খোকনের ওপর হামলা চালায়। পরে উপস্থিত এক সাংবাদিক মোবাইল ফোনে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ঘটনা জানালে এসআই হাবিবের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে এর আগেই চাঁদাবাজরা সটকে পড়ে। এ সময় উপস্থিত গ্রামপুলিশ ও স্থানীয় লোকজনও পুলিশের কাছে চাঁদাবাজির ঘটনা তুলে ধরেন।

সিএনজি চালক ও এলাকাবাসী জানায়, কর্শা কড়িয়াইল আমতলী বাজারে আসাদ, দেলোয়ার, নূরুসহ কয়েকজন মিলে চালক সঞ্চয় সমিতি নামে একটি সমিতি গঠন করে এর ব্যানারে চাঁদা আদায় করে আসছে। তাদের নিয়োগ করা কয়েকজন যুবক লাঠি হাতে জোরপূর্বক চাঁদা তুলে থাকে। জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত চালক সঞ্চয় সমিতি নাম দিয়ে আমতলী বাজারে একটি অফিস খুলে চাঁদাবাজি করছে তারা। এ ছাড়া সিদ্ধেশ্বরী বাড়ি এলাকায়ও চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে চালকেরা অভিযোগ করেছেন।

চালকেরা জানান, প্রতি গাড়ি থেকে এককালীন দুই হাজার টাকা এবং প্রতিদিন আসা-যাওয়া বাবদ ১০ টাকা করে ২০ টাকা চাঁদা দাবি করছে তারা। চাঁদাবাজির প্রতিবাদে চালকেরা এর আগে ১০ দিন গাড়ি চালানো বন্ধ রাখে। কিন্তু এর পরও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। সদর মডেল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।