“Man’s   best friend- Dog” –  ব্যাপারটা উপলব্ধি করার বয়স তখনও না।  শীতের কন কনে বাতাস আর সকালের ঘন কুয়াশা মারিয়ে স্কুল ফাকি দিয়ে মোটা তাজা, নাদুস নুদুস পুরুষ কুকুর ছানার সন্ধান করে বেড়াই গ্রাম থেকে গ্রামান্তর।   কখনো সন্ধান মেলে আখড়া হাটির বয়স্ক গাছটার নীচের গর্তে আবার কখনো, পরিত্যাক্ত  “মঠের” ভেতরে। মা’ কুকুরের  পিছু ধাওয়াতে অনেক  সময়  কুকুর ছানা কে ফেলে রেখে  প্রান নিয়ে কত বার যে   দৌড়ে পালিয়েছি, ইয়ত্তা নেই।   পছন্দের কুকুর ছানাকে ঘাড়ে বা কোলে করে বহন করে আনি।  চুরি করা নিয়ে আসা  থেকে  শুরু করে   ওদের আহার  বাসস্থান পর্যন্ত কিছু নৈমিত্তিক  বিপর্যয় ঘটে , যেমন  কুকুর  ছানাকে কোলে নিতেই   ভীষন অদমনীয় চেচামেচী শুরু করতো এতে করে থাকতো  মা কুকুর চলে আসার  এবং কামড়  খাওয়ার  সমূহ সম্ভাবনা । প্রথমে  কুকুর ছানা কে মাঠের কনো গর্তে লুকিয়ে রাখতাম ।  তারপর ছুটতাম দুগ্ধবতী ছাগির পেছনে  জোড় করে ছাগীর দুধ নিতাম, ফিডারে ভরে কুকুরের বাচ্চা কে খাওয়াতাম। স্কুলে ছুটির সময় ঘনিয়ে এলে এবং কুকুর ছানা কিছুটা শান্ত হলে একবগলে বই, আরেক বগলে কুকুর  ছানা নিয়ে মা বাবার বকুনির  শঙ্কাতে দুরুদুরু  বক্ষে বাড়ী ফিরতাম।  খড় ন্যারার বিছানাতে ছালার চটে জড়িয়ে লুকিয়ে রাখতাম বাড়ীর সুবিধা মতো কোন জায়গায়। সন্ধ্যারাতাব্দি নিশ্চুপ থাকতো। রাত দ্বিপ্রহরে শুরু করতো তীক্ষ্ণ স্বরের চিৎকার।  আমার ঘুম ভেঙ্গে যেতো। মধ্যরাতের কুকুর ছানার কান্নাতে নিজকে মনে হতো অসম্ভব অপরাধী ।

বাবা  বলতেন-  আবার কুকুরের বাচ্চা এনেছিস?  এদিকে  আয়- তোকে যদি   তোর বাবা মা’য়ের কাছ থেকে কেউ  চুরি করে অন্য  কোথাও  লুকিয়ে রাখতো, তখন  কি করতি।

বলতাম-অনেক কান্না করতাম।

বাবা বলতেন- তা হলে  হলে বুঝে দেখ  এ কুকুর  ছানা টা এখন কি করছে।  কালকে সকালেই যেখান থেকে এনেছিস সেখানে ফেরত দিয়ে আসবি।  শীতে কস্ট করছে, আপাতত  ওটাকে এখন  ঘরের ভেতরে নিয়ে আস।

ফুর্তীতে দৌড়ে  বাচ্চা কুকুরকে ঘরে নিয়ে এনে রাত্রিযাপন করতাম। পরেরদিন  অনিচ্ছা স্বত্তেও ফিরতি যাত্রাপথে অনেক আদর করে  মা’  কুকুরের  কাছে ফেরত দিয়ে আসতাম ।  শেষ বার চুরি করে আনা নাদুস নুদুস কুকুর  ছানা টিকে কেনো জানি বাবা  আর  ফেরত দিয়ে আসতে  বললেন না।  বাড়িতে সবার প্রিয় “লালু” বড় হলো বাবা দাদা’র বিশ্বস্ত পোষা হিসাবে।  কোন এক শীতের রাতে কফিন বন্দী  বাবার নিথর   দেহটা যখন বাড়ী  পৌছুলো-  কফিন এর পাশে বসা  “লালুর “ কান্না তে  আমি জেনে গিয়েছলাম কুকুরের  প্রভূ ভক্তি আর  তীক্ষ্ণ প্রখর অনুভুতি  শক্তির কথা।

পরবর্তী সময়ে  সবার মতো  কুকুরের প্রভূ ভক্তির  অনেক দেশী বিদেশী রচনা পড়েছি, শুনেছি। আমি ততদিনে দেশের গন্ডি পেড়িয়ে বিদেশে।  এদের কুকুর প্রিতীতে আমি দারুন ভাবে মুগ্ধ।  এমন সুন্দর সুন্দর  কুকুর।  যখন এদেশে আমি নিজেকেই পুষতে পারিনা তখন  এই রকম কুকুর  পোষার অভিপ্রায় নিতান্তই যন্ত্রনা দায়ক ছাড়া আর  কিছুই না।  অনেক গুলু বছর পর, দৈবাৎ  সুযোগ  এলো।  একটু উল্লেখ না করলেই না, যারা উন্নত বিশ্বের দেশে বসসবাস করেন বা কোন প্রানী পোষেন তাদের কে যে কি রকম দ্বায়িতশীল হতে হয় তা হয়তো অনেকেই জানেন। এবং পোষা কুকুর, বিড়ালের প্রতি কোন প্রকার অবহেলা প্রমান হলে  আইনী প্রক্রিয়ার যে ঝুট ঝামেলা পোহাতে হয় তা  আর বলার  অপেক্ষা রাখে না। তবে সুখের বিষয় হলো  অধিকাংশ কুকুর বিড়াল মালিকেরা  “প্রানী অধিকার সংরক্ষনে” অত্যন্ত  সচেতন এবং  যত্নবান।

যাক, আমার এপার্টমেন্ট ম্যানেজার মধ্যম সাইজের কুকুর এলাও করেন।  মনের মতো কুকুর শাবক নিয়ে এলাম এবার কনো গর্ত থেকে নয়, একদম কুকুর মেলা থেকে। কোলে থাকতে ও অনেক পছন্দ করে। নাম রাখলাম। নাম নিবন্ধন করতে হলো। গলাতে ম্যাগনেটিক ট্যাগ পরাতে হলো। যে ট্যাগের মধ্যে ডিজিটালি লুকানো রইলো  কুকুরের নাম, জন্মতারিখ, আমার নাম  ঠিকানা ওর ভ্যাক্সিন হিষ্টরি আরো জানি কি কি সব তথ্য।  কথা হলো যদি কুকুর হারিয়ে যায় পুলিশ বা এনিম্যাল কন্ট্রোল বিভাগ কুকুরের সব বৃত্তান্ত জেনে যথাযথ জায়গাতে  পৌছে দিতে পারবে নির্ঝামেলায়।

আমার কুকুর অফিস থেকে আসলেই  আমকে জড়িয়ে ধরে।  কোলে বসে আমার সাথে টি ভি দেখে। আমি একজন দায়িত্ববান মালিক হিসাবে  ওকে হাটাতে  নিয়ে যাই। পেছনে পেছনে প্লাষ্টিকের ছোট ব্যাগ নিয়ে ঘুরি, যত্রতত্র ওই কাজ টা করলে অন্যান্য  কুকুর মালিকদের মতো কুকুরের মলমুত্র  পরিস্কারেও আমি সিদ্ধহস্তঃ  হয়ে পরি।  কুকুর পার্কে অনেক কুকুর মালিক দের সাথে আমার  সখ্যতা হতে থাকে। যখন আমার পুরুষ কুকুর স্বভাবজাত ভাবে মেয়ে কুকুর দেখলে আকুলি বিকুলি করে আমিও তখন অন্যান্য কুকুর মালিকদের মতো আমার কুকুরের হয়ে মনুষ্যভাষাতে অন্য কুকুরীর সাথে মনের ভাব বিনিময় করি।

তখন আমাকে অফিস থেকে প্রায়  প্রতি সপ্তাহেই  কোথাও না কোথাও  যেতে হয়।  প্রতিবেশী কে অনুনয় বিনয় করে চাবি দিয়ে যাই সময় মতো খাবার আমার কুকুর কে খাবার দেয়ার জন্য। বিনিময়ে আমার প্রতিবেশী কে সৌজন্যমুলক ১২ প্যাক বিয়ার ধরিয়ে দেই।  বড়দিনের আগে আমাকে শহর ছাড়তে হচ্ছে, যথারিতী প্রতিবেশীর  শরনাপন্ন হলাম।  দূঃখিত হয়ে, অপারগতা স্বীকার করে  যে তথ্য  আমার প্রতিবেশী  আমাকে জানান দিলো -আমি তো রিতীমতো হত বিহব্বল।  কুকুর নিয়ে ঠিকানা মতো হাজির হলাম। দরজা তে ঢুকতেই  সুন্দরী যুবতী মনুষ্যকন্ঠে অতীব আদব কায়দাতে আমার কুকুরকে স্বাগতম জানিয়ে কুকুরের সাথে কথা বার্তা শুরু করলো, আমি ও আমার কুকুরের হয়ে অবলীলাতে সওয়াল জবাব চালিয়ে যাচ্ছি।  মজার জিনিস হলো আমরা এই দুই মনুষ্যদ্বয় কেউ কারো  চোখের দিকে তাকাচ্ছি না।  কুকুর কোন রুমে থাকবে, কেমন বিছানা পছন্দ, নাস্তা থেকে আরম্ভ করে রাতের খাবার পর্যন্ত মেন্যূ কি হবে।  ও কি কোন ঔষধ খায় কিনা, কত দিন থাকবে, পছন্দ, অপছন্দ এই সব।  সুন্দরী যুবতীর মনুষ্যকন্ঠের এহেন যত্ন সংক্রান্তীয় প্রশ্নে  আমার ভেতরটা   তীব্র  যন্ত্রনাতে  মুচরে উঠছিলো  বারংবার।  জীবনে প্রথমবার  আমি আমার সমলিংগের কোন প্রানী কে  হিংসা করেছিলাম  চরমভাবে।  কুকুরের হয়ে ঐ যুবতীর সাথে আমার  আর কথা বলতে ইচ্ছা  হচ্ছিলো না। ওকে তিন দিনের জন্য “কুকুর  হোটেলে” রেখে আসলাম। অনেক রাতের ফ্লাইটে বসে ভাবলাম অন্ততঃ সেই  শীতের রাতের কুন্ডলী পাকানো আমার অনেক আগের কুকুর ছানার মতো তো আর  কাঁদবে  না। এ তিনটা দিন ও হয়তো আমার থেকেও অনেক অনেক ভালো থাকবে।

এতদিনে আমার ছোট কুকুরটাতে পরিবর্তন্ লক্ষ্য করা গেলো। আমার সাথে আর টিভি  দেখেনা, অযথাই কার্পেটে খামচা  খামচি করে, আমার দিকে তাকিয়ে  খেঊ খেঊ করে বাইরে নিয়ে যাবার জন্য সময়ে অসময়ে। “ কুকুর  পার্কে” ওর  ব্যাবহার আমাকে লজ্জিত করে ভীষন ভাবে। আমি  তখন  মনুষ্যকন্ঠে ওর অশোভোন আচরনে বিপরীত লিঙ্গের কুকুর মালিকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হই।

একদিন “কুকুর হাসপাতাল” থেকে আমার কুকুরের জন্য ডাক এলো, জানানো হলো  ওদের  রেকর্ড অনুযায়ী আমার  কুকুর ছানা এখন বয়ঃসন্ধি কালে উপনীত। আমার উপর নির্ভর করবে আমার কুকুরকে কে এখন  নপুংসক করানো হবে কিনা। কথা টা শোনা  মাত্রই কেনো জানি আমার ভেতরে একটা অস্ফুষ্ট  যন্ত্রনা  মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। কি জবাব দেবো ভেবে পাচ্ছি না।   দাড়িয়ে আছি আমার কানে ফোন,  পা’য়ের কাছে তাকিয়ে দেখি ও মিট মিট করে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ল্যাজ টা নাড়াচ্ছে।  ও যেমন আমার অনুভুতি বুঝতে পারলো,   আমিও ওর মনের অনুভুতি বুঝে গেলাম ত্বড়িতে।  ফোনের ওপাশের জনকে জানিয়ে দিলাম -বিস্তারিত জানার জন্য আমি এক্ষুনি আসছি কুকুর হাসপাতালে। ওকে নিয়ে হাজির হলাম। যথারিতী  নার্স  পোশাকের মধ্যবয়সী মহিলা আমার কুকুরের দিকে তাকিয়ে  ঠাট্টা মশকরাতে মনুশ্যকন্ঠে  ওর পরিবর্তিত  আচার  আচরন আমাকে জিজ্ঞাস করছেন- আমি আমার কুকুরের হয়ে  দিব্বি জবাব দিয়ে যাচ্ছি। আমি আগের মতো আর পুলকিত হচ্ছি না। আমার আর আমার  প্রিয়  কুকুরের গুরত্বপূর্ন সিদ্ধান্তের দ্বৈতসত্ত্বার ভুমিকা টা যেন আমার কাছে অগ্নিপরীক্ষার মতো মনে হতে  থাকলো।

আমার অনুরোধে কুকুর হাসপাতালের ম্যানেজার কে  ডাকা হলো। উনি আমার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে জানালেন, আমি যদি এই কাউন্টিতে ওকে নিয়ে  বাস করি তবে অবশ্যই  আমার কুকুর কে নপুংসক হতে হবে। নতুবা  ওকে সেল্টারে নিয়ে যাওয়া হবে যেখানে অন্য কেউ  ওকে দত্তক না নিলে, ইঞ্জেকশনে আমার কুকুর কে ঘুম পাড়ানো হবে চীরতরে।

আমার চাকুরীর জন্য এবং এপার্টমেন্ট চুক্তিবদ্ধতার কারনে  অন্য কাঊন্টিতে  স্থান পরিবর্তন মোটেও সম্ভব ছিলো না। এখানে ওকে  নিয়ে থাকতে হলে নপুংসক ছাড়া কোন বিকল্প পথ ও নেই।   আমার  সিদ্ধান্ত টাকে  এবার আরেক টু পাকা করার জন্য মনে মনে বললাম ওর ঈস্বর প্রদত্ত প্রজনন বাসনা  এবং বংশ বৃদ্ধি ক্ষমতা  থেকে আমি ওকে কোনভাবেই বঞ্চিত করবো না, সেটা  যে  শর্তেই হউক।

আমার নীচের তলার  প্রতিবেশী, ওর ও কুকুর আছে নপুংসক  ।  এক সময়ের আমার ভালো বন্ধু।  ওর সুখ দুঃখে আমি পাশে থেকেছি অনেক গুলু বছর। বিশেষ কনো কারনে  এক জন অন্য জনের ছায়া পর্যন্ত মারাই না প্রায় বছর তিনেক। কিন্তু মিউচ্যূয়াল বন্ধুদের  মাধ্যমে দু জন দুজনের খবরা খবর রাখি। হটাত একদিন জানতে পারি ও অন্যরাজ্যে কাজ নিয়ে চলে যাচ্ছে দিন দুয়েকের মধ্যে।  বন্ধু বান্ধবদের  অনেকেই  আমাদের দু’জন কেই বলছে -ভালো হয় যদি  আমি এবং আমার নীচতলার বন্ধূ সকল  বিভেদ  ভুলে গিয়ে এক জন আরেকজন কে বিদায় জানাই। আমি অতি ভোরে ওর দরজায় কড়া নাড়লাম। দরজা খুলে বয়সের তুলনায় একটু মুটিয়ে যাওয়া আমার মার্কীনি বন্ধু আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্না কাটি করলো। আমি স্বাভাবিক রইলাম। বন্ধুটি অনেক কথার মাঝে আমাকে ওর নতুন রাজ্যে যাওয়ার  প্রলোভনে  যে গুরত্বপূর্ন কথা টি জানান দিলো তা হলে ও  যে রাজ্যে যাচ্ছে  ওখানে পোষা কুকুর বিড়ালের জন্ম নিয়ন্ত্রনে কনো বাধ্যবাধকতা নেই। সাথে  সাথে কেনো জানি আমার আর  ওর সব ব্যবধান  ঘুচে গেলো। মনে হলো আমি আমার সিদ্ধান্তে  পৌঁছে  গেছি নিমিষে।

কাল সকালে ও তার প্রিয় ভক্সোওয়াগান  ভ্যানে করে পাড়ি জমাবে। আমি অনেক ভেবে চিন্তে বললাম আমার কুকুর কে নংপুংশক  না করাতে আমার দৃঢ়  প্রত্যয়ের কথা; অনুরোধ করে বললাম আমার কুকুরটার  ওকে   দ্বায়ভার গ্রহন এবং আমার অপারগতার কথা। জানালাম –   আমার কুকুরটাকে  ছাড়তে আমার অনেক কস্ট হবে, কিন্তু ও তো বেচে থাকতে পারবে যুগে যুগে ওর আগামী প্রজন্মের মাঝে।  এটাই তো আমার বড় পাওনা। আমার বন্ধুটী আমার কুকুর কে দত্তক নিতে রাজী হয়ে গেলো!!

আমার কুকুরের সাথে শেষ রাত। অনেক কথা বললাম। চুপচাপ  কোলে বসে TV  দেখলো। আমার কুকুর কে  বলেছিলাম – আমি না হয়  তোর হয়ে  মনুশ্যকন্ঠে অনেক কে অনেক কিছু বুঝেয়েছি, কিন্তু তুই মন্যূষ্য  TV  নিঊজ চ্যানেল আর রাজনৈতিক টক শো’র  কি মাথামুন্ডু বুঝলি। ও শুধু তাকিয়ে থেকে  ল্যাজ নেড়েছিলো।

অনেক সকালে আমার বন্ধুটি ভ্যান ষ্টার্ট করলো। আমি আমার কুকুর কে  ওর কাছে সপে দিলাম। বললাম ও অনেক ভালো কুকুর। খাবার দিয়ে TV এর   সামনে বসিয়ে দিও, তা হলেই চলবে। আমার বন্ধুটি হাসলো।  এবার আমি  কেঁদে ফেললাম।

পূনশচঃ  আজ  যুক্তরাষ্ট্র TV চ্যানেল ইতিহাসে  নতুন সংযোজনের অভিষেক ঘটালো। প্রখ্যাত স্যটেলাইট চ্যানেল প্রতিষ্ঠান Direct TV তাদের  চ্যানেল তলিকায়   শুধু বাড়িতে একা থাকা (Home alone)  নিসংগ কুকুরের বিনদোন এর জন্য অতিরিক্ত মাসিক পাচ  ডলারের বিনিময়ে   যোগ করলো  Dog TV ।  জানি না অনেক গুলু বছর পর আমার সেই কুকুরটা দেখছে কিনা – ওদের নতুন চ্যানেল।  পাশা পাশি মনে পরছে  দেশে ফেলে রেখে আসা আমার অনেক প্রিয় কুকুর “ভুল্লার” কথা। অনেক ভালো থাকিস তোরা।