কুমারীলতা বা কুমারীকা নামেই অধিক পরিচিত। বুলকুমিয়া, বেড়াল আচড়া নামেও ডাকা হয় কোথাও কোথাও। ইংরেজিতে বলে ওয়াইল্ড সারসাপারিলা, ইন্ডিয়ান সারসাপারিলা বা ব্লাক ক্রিপার। চাকমারা ডাকে গাং হুমোজি নামে। বোটানিক্যাল নেম Smilax macrophylla, Smilax zeylanica, Smilax ovalifolia। লিলিয়েছি ফ্যামিলির উদ্ভিদ। আমাদের দেশে কম-বেশি সাড়া দেশ জুড়েই জন্মে। মায়ানমার, ভারত, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড ও চীনে পাওয়া যায় এর নানা প্রজাতি।  কুমারীলতা শক্ত লতানো, কাটাযুক্ত গাছ। পাতার অগ্রভাগ সরু, বৃন্তদেশ গোলাকার, পাতার উপরের দিক মসৃণ। গ্রীষ্ম, বর্ষায় ফুল হয়।

স্যাপোনিন, রেসিন, ডায়োসজেনিন, ট্যানিন, সিটোস্টেরল, কিউমারিন, রুটিন, স্মাইলাসপারিক এসিড সহ বেশ কিছু রাসায়নিক উপাদান এর মূল থেকে পৃথক করা হয়েছে। সিফিলিস, গনোরিয়া, বাত, পায়ের ব্যথা, ফুলে যাওয়া, রক্ত-শুন্য আমাশয়, জ্বর এর চিকিৎসায় এর মূল ব্যবহৃত হয়।