ডাকুর একটি ফুলের নাম,যাকে আমরা কাঠমালতী বলি।শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব ঋতুতেই গাছটিতে হালকা গোলাপি রঙের ফুল তারার মতো জ্বলজ্বল করে। ফুলের পাপড়ি হয় পাঁচটি। দেখতে অনেকটা জুঁই ফুলের মতো। সার্ব ভিনেকা, পিংক কপসিয়া এবং পিংক গার্ডেনিয়া এর প্রচলিত নাম। বাংলা নাম ডাকুর।

ডাকুর উজ্জ্বল সবুজ পাতার চিরসবুজ গাছ। এই গাছটির সঙ্গে আমার প্রথম দেখা বেশ আগে এই জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানেই। উদ্যানের নার্সারি থেকে লাল ঝুমকোলতার ছবি তুলে বের হতে চোখে পড়েছিল নজরকাড়া ডাকুরের শোভা। সেদিনও আকাশে মেঘ ছিল। একটু আগে একপশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। ফুলের পাপড়ির ওপর জমা বৃষ্টিবিন্দু তার সৌন্দর্যকে অন্য এক মাত্রায় নিয়ে গেছে। মুগ্ধ হয়ে ছবি তুলে নিলাম। তারপর একদিন আরেকটি ডাকুর গাছের সঙ্গে দেখা হয় বলধা গার্ডেনে। গোলাপ বাগানের পেছনে, ভাদ্রা গাছের পাশে।

পরিচর্যাকারী দুলালের কাছে ফুলের নাম জানতে চাইলে তিনি বললেন, সামসুল হক সাহেব জানেন। সামসুল হক জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের সাবেক বোটানিস্ট। ফোন করতে তিনি বললেন, আমরা একে ‘কাঠমালতী বলি’।

পরে ভিক্ষু, বুদ্ধদেবসহ কয়েকজনের লেখা বিভিন্ন বই থেকে জানি, ফুলটির নাম ডাকুর। গাছটির উচ্চতা চার মিটারের মতো হবে। ডিম্বাকার পাতার অগ্রভাগ এবং পেছনের দিকটা সুচালো। খুব শক্ত সে পাতা বের হয় জোড়ায় জোড়ায়। গুচ্ছবদ্ধ ফুল দেখে মনে হবে, তারা আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছে। উদ্ভিদবিজ্ঞানের ভাষায় ডাকুরের নাম Kopsia fruticosa। Apocyneceae পরিবারের সদস্য। মূলত ভারতীয় উপমহাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের ফুল। জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান এবং বলধা গার্ডেনে গেলেই ডাকুরের সৌন্দর্যে চোখ জুড়াতে পারবেন।

-সূত্রঃপ্রথম আলো