কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সুতি ইউনিয়নের ষোলরশি গ্রামে গতকাল শনিবার প্রতিপক্ষের হামলায় প্রায় ২৫টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা ব্যাপক লুটপাট চালায়। এতে উভয় পক্ষের মহিলাসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়।

এলাকাবাসী জানায়, গ্রামের মজিবুর রহমান ও তাঁর প্রতিবেশী হারিছ মিয়ার মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল। এক মাস আগে মারামারির ঘটনায় মজিবুরের পক্ষের এক মহিলা বাদী হয়ে হারিছ মিয়াসহ তাঁদের লোকজনের বিরুদ্ধে কুলিয়ারচর থানায় মামলা করেন। গতকাল আগের মামলাটির আপসের তারিখ নির্ধারণের কথা ছিল। এ অবস্থায় গতকাল মজিবুরের পক্ষের মিলন মিয়া, আবদুল গফুর, রেফায়েত উল্লাহ ও ইসলাম উদ্দিন চকবাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের আক্রমণের শিকার হন। রাস্তায় ওত পেতে থাকা হারিছ মিয়া ও মজনু মিয়ার লোকজন দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ ঘটনার পর হারিছ মিয়া ও মজনু মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। এতে মজিবুরের পক্ষের আবদুল কাদিরের দুটি, আবদুল বারীর দুটি, মজিবুরের তিনটি, শাহাবুদ্দিনের তিনটি, ছানু মিয়ার একটি, ফজলু মিয়ার একটি, বাবু মিয়ার একটি ঘরসহ কমপক্ষে ২৫টি ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। মজিবুর রহমান দাবি করেন, হারিছ-ফজলুর নেতৃত্বে হামলাকারীরা তাঁদের বাড়িঘর থেকে মূল্যবান সম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে।

লিখেছেনঃ নাসরুল আনোয়ার