‘ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি, দাদুর বাড়ি ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু কোনো দিন দেখিনি। এবার বাংলাদেশে এসে দুটি কনসার্টের ফাঁকে একটু সময় পেলাম। তাই দাদার বাড়ি দেখার সুযোগটা আর হাতছাড়া করিনি। বাবাকে নিয়ে সকালেই চলে গেলাম বিক্রমপুরের হাসাড়া গ্রামে। এখানেই আছে আমার শেকড়, আমার পূর্বপুরুষদের স্মৃতি।’ বললেন ভারতের এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল। গত শুক্রবার সকালে বাবা বিশ্বজিৎ ঘোষালকে নিয়ে বিক্রমপুর থেকে ঘুরে এলেন তিনি। বিকেলে গুলশান ক্লাবে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

শ্রেয়া আরও বললেন, ‘আমার দাদু সুধীরচন্দ্র ঘোষাল ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের আগেই কলকাতা চলে যান। বাবার জন্ম সেখানেই, তবে বিক্রমপুরে এখনো আমাদের অনেক আত্মীয়স্বজন আছেন। বাবা কিন্তু তাঁর আত্মীয়দের বাড়িতে এর আগেও বেড়াতে এসেছেন। আমি এবারই প্রথম এলাম।’

বিক্রমপুর ঘুরে আসার অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বললেন, ‘এখন তো সেখানে আমাদের খুব কাছের কেউ নেই। শুধু স্মৃতিটুকুই সম্বল। চারদিকের সবুজ দেখে আর মানুষের সঙ্গে কথা বলে খুব ভালো লেগেছে। ডাবের জল খেয়েছি। দারুণ মিষ্টি! বাবা আমাদের পূর্বপুরুষের ভিটে দেখালেন। তেমন কিছুই নেই। কিন্তু তার পরও বেশ অনুভব করতে পারছিলাম। আমার জন্ম তো এখানেও হতে পারত।’
জানালার বাইরে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকলেন। চোখ ফিরিয়ে তিনি বললেন, ‘শেকড়ের টান বড় অদ্ভুত। এ কারণেই হয়তো বাংলাদেশের শ্রোতাদের সামনে গান গাইতে খুব ভালো লাগছে।’

এরপর কেনাকাটা করতে বেরিয়ে যান শ্রেয়া। সন্ধ্যায় ফিরে এসে যোগ দেন গুলশান ক্লাবে আয়োজিত কনসার্টে। গতকাল শনিবার সকালে মুম্বাই ফিরে যান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে সফরের প্রথম কনসার্টে অংশ নেন শ্রেয়া।