এক নতুন ধরনের ফাঙ্গাস বা ছত্রাকের সন্ধান মিলল ব্রাজিলে। যারা পিঁপড়াদের যম। নতুন এই পিপীলিকাভুক ছত্রাকের খবর পেয়ে রীতিমত উত্তেজিত বিজ্ঞানীরা।
পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক ব্রাজিলের রেইন ফরেস্ট এলাকা বলে পরিচিত মিনাস গেরাইস প্রদেশে বেশ কিছুদিন ধরে গবেষণা চালাচ্ছিলেন কিছু ছত্রাককে নিয়ে। সেই গবেষণাতেই জানা গেছে, এক আশ্চর্য প্রজাতির নতুন রকমের ছত্রাকের কথা। কার্পেন্টার অ্যান্ট বা কর্মচারী পিঁপড়াদের জন্য এই নিরীহ ছত্রাক একেবারে মৃত্যুর অন্যতম পথ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পিঁপড়াদের শরীরে বাসা বেঁধে তাদের মস্তিষ্ক অকেজো করে তাকে মেরে ফেলে এই ছত্রাক। বিজ্ঞানীরা এ ছত্রাকের নাম রেখেছেন ‘প্লস ওয়ান’। সদ্য আবিষ্কৃত এই ছত্রাকের প্রজাতি এক হলেও এদের নানারকম ভিন্নতা আছে।

কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, প্লস ওয়ানের প্রতিটি বিভিন্ন রকমের ছত্রাকের কাজই হলো পিঁপড়া নিধন। একেকজন একেকরকম পন্থায় পিঁপড়েদের মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে। যেমন আরেকটি ‘প্লস ওয়ান’ ছত্রাকের কায়দা আবার অন্য কোনো পিঁপড়ার শরীরে একবার ঢুকে পড়তে পারলে প্লস ওয়ান সরাসরি তার মাথায় পৌঁছে যায়। তারপর পিঁপড়ার চলাফেরাকে সে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে। এরপর বেচারা পিঁপড়া কোনো পাতায় খাদ্যের জন্য কামড় বসানো মাত্র তার চোয়াল যায় আটকে সেই পাতার শরীরের শিরা-উপশিরায়। তারপর অবধারিত মৃত্যু। এখানেই শেষ নয়, পিঁপড়াদের শরীরে নিজেদের বিষ ঢুকিয়ে সেখানেই বাসা বেঁধে পিঁপড়াকে এই ‘প্লস ওয়ান’ ছত্রাক ক্রমশ নিস্তেজ করে মাটিতে পেড়ে আনে। সেই মাটি যেহেতু অনেক বেশি জলকণায় ভিজে থাকে, অতএব সেখানে দ্রুত বংশবিস্তার করে এই ‘প্লস ওয়ান’ ছত্রাক। তারপর একের পর এক পিঁপড়াদের পুরো ডেরায় তারা ঢুকে পড়ছে তারা এবং কারণ হয়ে ওঠে তাদের সবার মৃত্যুর মানে অনেকটা পিঁপড়াদের জগতে মহামারী সৃষ্টি করার মতো ব্যাপার! আর সেই পিঁপড়াদের শরীর থেকেই ক্রমশ ‘প্লস ওয়ান’ সংগ্রহ করে নিতে থাকে নিজেদের খাবার-দাবার।

সুত্রঃ- দৈনিক আমার দেশ