নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো শনিবার বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে নবম বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস।

“ঝূকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন করি, শিশু শিক্ষা নিশ্চিত করি” শ্লোগান নিয়ে এসব কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম সচিব (শ্রম) অরুন কান্তি আইচ জানান, বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় “২০১৬ সালের মধ্যে ঝূঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন”।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইএলও এবং ইউনিসেফ এর সম্মিলিত উদ্যোগে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উদযাপন করা হবে বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০০৩ অনুসারে বাংলাদেশে কর্মজীবি শিশুর সংখ্যা প্রায় ৭৪ লাখ। এর মধ্যে ১৩ লাখ শিশু ‘ঝূঁকিপূর্ণ’ কাজে নিয়োজিত।

এক প্রশ্নের উত্তরে অরুন কান্তি আইচ বলেন, শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্য অর্জনে অনেক কাজ অবশিষ্ট রয়েছে। শিশু শ্রমিকের সংখ্যা, কোন কোন ক্ষেত্রে শিশুরা কাজে নিয়োজিত, কাজের পরিবেশ ইত্যাদি নির্ণয়ে ২০০৩ সালে সর্বশেষ জরিপ হয়।

তিনি জানান, সা�প্রতিক কোনো জরিপ না থাকায় কর্মপরিকল্পনা তৈরিতে সমস্যা হচ্ছে এবং শিশুদের ঝূঁকিপূর্ণ কাজের কোনো তালিকা প্রণয়ন করা হয়নি।

জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি ২০১০ এর লক্ষ্য অর্জনে সুনির্দিষ্ট সময়-সীমা, প্রয়োজনীয় সম্পদ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্বলিত একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করে যুগ্ম সচিব অরুন জানান, একক কোনো মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও নিরসন করা সম্ভব নয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবুল কাশেম ভূইয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. নমিতা হালদার, ইউনিসেফের চাইল্ড প্রোটেকশন বিশেষজ্ঞ ইয়ো ওসোয়া, আইএলও ঢাকার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক গনন রাজভাণ্ডারী উপস্থিত ছিলেন।