কয়েকটি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতার বরাত দিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদের শিরোনাম ‘নিকলীতে রাস্তা দখল করে নিয়েছেন প্রভাবশালী স্কুল শিক্ষক। খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রতিবেদনটিতে আমার কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি। এমনকি প্রতিবেদক আমার সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগও করেননি। যা সাংবাদিকতার নৈতিকতা পরিপন্থি।

সংবাদে আমি রাস্তা দখল করে নিয়েছি বলে অভিযোগ করা হয়। প্রকৃত ঘটনা হল, উত্তরাধিকার সূত্রে এই পুকুরটির মালিকানা আমার স্ত্রীর। উল্লেখিত জমিটি নিকলী মৌজার সি,এস রেকর্ড অনুযায়ী ও ৩ নং নকশায় ১৬৮৯ দাগের ভূমি একটি পুকুরমাত্র। এর উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিম পাশ বরাবর সরকারি রাস্তা রয়েছে। পারটি সংস্কারের অভাবে পশ্চিম অংশ ভাঙ্গা। পুকুরের দক্ষিণ পাশ সংলগ্ন ১৬৯০ দাগের ভূমি এবং জনাব সাত্তার ও কাছুম আলীর ভিটেবাড়ী। এখানে সংযোগকারী কোনো সরকারি রাস্তা নেই। উল্লেখ্য ১৯৭৫ সালে আমি পুকুরের দক্ষিণ পার সংস্কার করি। পরবর্তীকালে অতি বৃষ্টি ও বন্যায় পারটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যা বর্তমানে এ অবস্থায়ই রয়েছে।

জনাব সাত্তার ও কাছুম আলী নিজেদের বাড়িতে চলাফেরা করার সুবিধার জন্য নিজেদের জায়গা ব্যবহার না করে পুকুরের দক্ষিণ পারের উপর দিয়ে রাস্তা দাবি করে আমার বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে বর্তসত্বের দাবিতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। উল্লেখ্য, মামলার বাদি জনাব আব্দুস সাত্তার এলাকায় একজন প্রতারক হিসাবে পরিচিত। তার নামে বেশ কয়েকটি প্রতারনার মামলা রয়েছে। একটি মামলায় তিনি হাজতবাসও করেছেন।

সংবাদে আমাকে ‘প্রভাবশালী শিক্ষক’ বলে উল্লেখ করা হয়। আমার বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ ফুঁসে উঠেছে বলে মিথ্যাচারও করা হয়। অথচ আমি দীর্ঘ চল্লিশ বছরের শিক্ষকতাজীবনসহ এখন পর্যন্ত এলাকায় সুনামের সাথে বসবাস করে আসছি।এসব সংবাদমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় এলাকায় আমার সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি এ সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে ভবিষ্যতে সাংবাদিকতার নীতিবিবর্জিত সংবাদ রচনা না করে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

মো: আবদুল জব্বার
মাস্টার বাড়ি
গ্রাম- কামারহাটি
পো:- নিকলী