কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর খাদ্যগুদাম থেকে ওএমএসের ছয় মেট্রিক টন চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ভৈরবে আনার সময় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা জব্দ করেছেন।বাজিতপুরে চাল জব্দের ঘটনায় গতকালই ওএমএস ডিলার হাফিজুর রহমান ও ছাদেক মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিভাগ ওই দুই ব্যক্তির এবং একই উপজেলার মুর্শিদ মিয়া ও সেলিম হোসেন নামের আরও দুজনসহ মোট চারজনের ডিলারশিপ বাতিল করেছে। একইসঙ্গে হাফিজ ও ছাদেককে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

র‌্যাব-৯ ভৈরব ক্যাম্পের অধিনায়ক শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, চাল বিতরণ নিয়ে হাফিজ ও ছাদেকের বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে নানা অভিযোগ ছিল। এ অবস্থায় র‌্যাব জানতে পারে, ১৪ এপ্রিল বিতরণের কথা বলে বাজিতপুরের সরারচর খাদ্যগুদাম থেকে দুই ডিলার তিন মেট্রিক টন করে ছয় মেট্রিক টন চাল আনেন। চালগুলো গুদামে না নিয়ে ট্রাকে করে পার্শ্ববর্তী ভৈরবে নিয়ে আসেন তাঁরা। ওই দিন বিকেলেই ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর এলাকা থেকে চালভর্তি ট্রাক জব্দ করা হয়। ওএমএসের চাল নিশ্চিত হওয়ার পর ১৬ এপ্রিল ঘটনাটি প্রকাশ করা হয়।

বাজিতপুর খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্র জানায়, ঘটনার পরদিন খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় তদন্তে নামে। জব্দ করা ওএমএসের চাল সরারচর খাদ্যগুদাম থেকে আনা হয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হেফজুল বারী জানান, ১২৭ জন ডিলারের মাধ্যমে বাজিতপুরে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। চাল জব্দ করার পর ওই দুই ডিলারের গুদাম পরিদর্শন করে চার টন চাল কম পাওয়া যায়। একই সময় আরও কয়েকটি গুদাম পরিদর্শন করা হয়। তখন ডিলার সেলিম হোসেনের গুদামে দুই টন এবং মুর্শিদ মিয়ার গুদামে আধা টন চাল কম পাওয়া যায়। গুদামে প্রয়োজনীয় চাল না থাকার কারণে মুর্শিদ ও সেলিমের ডিলারশিপও বাতিল করা হয়।