শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সারাদেশে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকরা কোন বিদ্যালয়ে যোগদান করবে, এ নিয়ে বাজিতপুর উপজেলা ও পাৈরসভাসহ ১২টি ইউনিয়নের ১১৪ জন সহকারী শিক্ষক ও ৪ জন প্রধান শিক্ষক বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকটি প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ ও যোগদানপত্রের মধ্যে স্ব স্ব স্কুলের নাম লেখা থাকত। কিন্তু বর্তমানে নতুন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম লেখা নেই। এসব শিক্ষক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এসে অপেক্ষা করছেন। জেলার ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি এ নিয়োগের জন্য শিক্ষকদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামসহ পদায়ন করবেন। গতকাল সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসাইন, মো. সালাহউদ্দিন, সৈয়দা বদরুন্নাহারসহ ক’জন শিক্ষক বলেন, সাধারণ শিক্ষক পদপ্রার্থীরা এবার স্বচ্ছতা সহকারে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার পর নিয়োগ পেয়েছে। তবে যোগদানের নীতিমালা আগের তুলনায় ভিন্ন বলে উল্লেখ করেন। উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম গতকাল আমার দেশকে জানান, এ বছর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে শিক্ষকদের নিয়োগের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বলতে পারবে। তিনি আরও বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসসহ ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি নতুন শিক্ষকদের যোগদানপত্রে স্কুলের নাম উল্লেখ করে পদায়ন করবে বলে জানান। এদিকে শিক্ষক নেতা মো. মজিবুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে উপজেলা শিক্ষা অফিস স্বচ্ছতার সঙ্গে কর্ম পরিচালনা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মৌলার মুঠো ফোনটি বন্ধ থাকার কারণে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।