কুমড়ো যখন রেকর্ড গড়ে


কেউ যদি বলে, দেড়-দুই হাজার পাউন্ডের একটি মিষ্টি কুমড়ো পড়ে আছে তার কুমড়ো মাচায় তাহলে তাকে আর পাগল কিংবা গুলবাজ বলার সুযোগ নেই। কেননা এই ওজনের কুমড়ো হতেই পারে, তাই প্রমাণিত করলো ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়েরে অবস্থিত পাইন টপ্স নার্সারির বিশাল কুমড়ো। কুমড়োটির ব্যাস ১৭ ফুট। দানবিক এই কুমড়োটির ওজন ১ হাজার ৬শ ৫২ পাউন্ড এবং বয়স ৩০ বছর। জমজ দুই ভাই ইয়ান ও স্টুয়ার্ট কুমড়োটিকে বছরের পর বছর যত্ন করে বাড়িয়ে তুলেছে। ভারি কুমড়ো হিসাবে কুমড়োটি অনেক আগেই ইউরোপিয়ান রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। এখন এটি বিশ্বের সবচেয়ে ভারি কুমড়ো।

কলেজের টিউশন ফি ৪২ লাখ টাকা:

ফোর্বস ম্যাগাজিনের সম্প্রতি করা এক জরিপ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ব্যয় বহুল কলেজের মধ্যে নিউইয়র্কের সারা লরেন্স কলেজ সর্ব শীর্ষে রয়েছে। এই কলেজের একজন আন্ডার গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষাবর্ষ ২০১০-২০১১-এর টিউশন ফি হিসাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ ৫৭ হাজার ৫শ ৫৬ ডলার ধার্য করেছে। অন্যান্য ফি বাবদ আরো ১ হাজার ৭শ ৮০ ডলার দিতে হবে। কলেজের প্রেসিডেন্ট কারিন লরেন্স জানিয়েছেন, ‘আমাদের কলেজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানের শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে দু’বার স্টুডেন্ট-ফ্যাকাল্টি সভায় অংশ নেয়।’ উল্লেখ্য যে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ব্যযবহুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়েও ফি-এর দিক থেকে লরেন্স কলেজে এগিয়ে আছে।

হীরার প্রতি ক্যারেট ১০ লাখ পাউন্ড:আংটিতে বসানো একটি ছোট গোলাপী হীরক খন্ড। ২৪.৭৮ ক্যারেটের এই হীরাটিকে জেনাভায় নিলামে তোলা হবে। নিলাম আয়োজকরা আশা করছেন, হীরাটি ১৭ থেকে ২৪ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি করা যাবে। তার মানে হীরাটির প্রতি ক্যারেটের দাম পড়বে প্রায় ১০ লাখ পাউন্ড। বিখ্যাত স্বর্ণ ব্যবসায়ী হ্যারি উইন্সটন ৬০ বছর আগে এই হীরকখন্ডটি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। তখন থেকেই এটি ব্যক্তিগত মালিকানায় রয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ দাম হিসাবে ৭.০৩ ক্যারেটের ‘স্টার অব জোসেফিন’-এর প্রতি ক্যারেট বিক্রি (২০০৯) হয়েছিল সাড়ে ৮ লাখ পাউন্ডে।

তারকা চশমা:বিখ্যাত ‘ফ্রিডম’ বইয়ের ব্রিটিশ লেখক জনাথন ফ্র্যানজুনের চশমা সম্প্রতি চুরি হয়। তখন তিনি একটি বইয়ে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ছিলেন। চশমা চুরি হতেই পারে। কিন্তু সাধারণ এই চুরি অসাধারণ হয়ে ওঠে যখন লেখককে ই-মেইলের মাধ্যমে ওই দুই চোর জানায়, ‘১ লাখ ডলার দিয়ে চশমা নিয়ে যাও।’ পুলিশ তখন ব্যাপারটিকে আর সহজ ভাবে নেয় না। তাদের তৎপরতায় একজন চোর লেখকের চশমাসহ ধরা পড়ে। কিন্তু লেখক চোরদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা অভিযোগ করতে অসম্মত হলে পুলিশ চোরকে ছেড়ে দেয়। এখন লেখকের চেয়ে লেখকের চশমাটিই বেশি বিখ্যাত।

লিখেছেন : সুদীপ্ত সালাম