স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি নাকচ করেছেন। তিনি আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
সৈয়দ আশরাফ বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘সরকারকে নামাতে হলে সংসদে এসে অনাস্থা প্রস্তাব দিন। অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে আপনাদের যুক্তি দেন। আমরাও আমাদের যুক্তি তুলে ধরব। তারপর ভোটাভুটি হবে। ভোটে হেরে গেলে সরকার সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করবে। এটাই গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক পন্থা।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘এর বাইরে অন্য কোনো পদ্ধতির কথা চিন্তা করা অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক। এ ধরনের কথা বলা উচিত নয়। অতীতে সামরিক শক্তি অভ্যুত্থান করে গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। এ ধরনের পরিস্থিতি এখন বাংলাদেশে নেই। বিশ্বও আগের মতো নেই। অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এ কথা মনে রাখতে হবে।’
সৈয়দ আশরাফ অভিযোগ করেন, ‘বিএনপি খালেদা জিয়ার বাড়ি, তাঁর দুই ছেলে ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে আন্দোলন করছে। এ আন্দোলন একান্তই খালেদা জিয়ার পারিবারিক বিষয়। এতে সাধারণ মানুষের সমর্থন নেই। আর সাধারণ মানুষের সমর্থন নেই বলেই তারা আন্দোলন জোরদার করতে পারছে না।’
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জেলহত্যা দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এসব কর্মসূচির মধ্যে আছে—ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো, চার নেতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জেলখানায় যে স্থানে চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো, বনানীতে মিলাদ ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা। এ ছাড়া ৫ ও ৬ নভেম্বর সারা দেশের জেলা পর্যায়ের প্রচার ও তথ্য গবেষণা সম্পাদকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করবেন।
অন্যদের মধ্যে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, আহামদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম আলো-