বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে :

‘সমকামিতা’ বইটির নামকরণের মধ্যেই রয়েছে লেখকের অনুসন্ধিৎসু মননের এবং প্রথাভাঙ্গা বিষয়বস্তুর নির্দেশ। আধুনিক জীববিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানের সর্বাধুনিক তথ্যের ভিত্তিতে স্পর্শকাতর এ বিষয়টির উদ্ভব এবং অস্তিত্বকে বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। বৈজ্ঞানিক আলোচনার পাশাপাশি লেখক আর্থ-সামাজিক, সমাজ-সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং মনোস্তাত্ত্বিক বিভিন্ন দিক সুচারুভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রাণীজগতে সহস্রাধিক প্রজাতিতে যে সমকামিতার অস্তিত্ব রয়েছে তা এখন অনেকেই জানেন। মানব সভ্যতাও কিন্তু এই ধারার ব্যতিক্রম নয়। প্রাচীন গ্রীক ও রোমান সভ্যতা থেকে শুরু করে প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় সমকামিতার অস্তিত্বের পাশাপাশি, আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাস থেকেও করা হয়েছে সমকামিতার উৎসের নিবিড় অনুসন্ধান।

কিন্তু সমকামী মানুষদের যাত্রাপথ এবং তাদের যৌনতার স্বীকৃতির ব্যাপারটি কুসুমাস্তীর্ণ ছিলো না। ইতিহাস এবং সমাজ পরিক্রমার পটভুমিকায় সারা বিশ্ব জুড়ে সংখ্যালঘু যৌনপ্রবৃত্তির মানুষগুলোর দীর্ঘদিনের সংগ্রাম এ বইয়ে ধারাবাহিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। জীবনের যে স্বাভাবিক প্রবৃত্তিকে বিভিন্ন সামাজিক কুসংস্কার এবং অজ্ঞানতার অপশাসনে এতোদিন দীর্ণ করে রাখা হয়েছিলো, লেখকের যুক্তিনিষ্ঠ লেখনীতে বাংলায় প্রথমবারের মতো প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো শক্তিশালী এক সামাজিক ট্যাবুকে।

বইটি থেকে কিছু স্যাম্পল অধ্যায় উৎসাহী পাঠকদের জন্য তুলে দেয়া হল –

ভূমিক 

প্রথম অধ্যায় :   প্রকৃতি ও সমকামিতা

দ্বিতীয় অধ্যায় : রূপান্তরকামিতা আর উভকামিতার জগ

তৃতীয় অধ্যায় উভলিঙ্গত্ব

চতুর্থ অধ্যায় বিবর্তনের দৃষ্টিতে সমকামিতা  

পঞ্চম অধ্যায় : গবেষণার রুদ্ধ দুয়ার খুললেন যারা  

ষষ্ঠ অধ্যায় : গে মস্তিস্ক এবং গে জিনের খোঁজে

সপ্তম অধ্যায় : সমকামিতা কি কোন জেনেটিক রোগ?

অষ্টম অধ্যায় : সমকামিতা : সমাজ, ইতিহাস এবং সাহিত্যে

নবম অধ্যায় : ধর্মে সমকামিতা

দশম অধ্যায় : সমকামিতা ও মানবাধিকার

পরিশিষ্ট

বইটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য ক্লিক করুন ।