চলতি আউশ মৌসুমে ভিয়েতনামের উচ্চফলনশীল স্বল্পমেয়াদি এমএস সুজন ধান চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের মহিলা কৃষক ফাতেমা জোহরা (৫৭)। বীজতলা থেকে বীজ উত্পাদন পর্যন্ত এ ধান উঠতে সময় লাগে ৮১ দিন। আর ক্ষেতে রোপণের মাত্র ৬৫ দিনে তিনি এ ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। বিঘাপ্রতি ফলনও পেয়েছেন ভালো। ১০ বিঘা জমি থেকে তিনি ধান পেয়েছেন ২৫০ মণ। ভিয়েতনামি এ ধানে ছত্রাক ও পোকা-মাকড় খুবই কম লাগে। সেই সঙ্গে সেচও কম লাগে বলে জানিয়েছেন শিক্ষিত চাষী এডিবির কনসালটেম্লট ফাতেমা জোহরা। ফাতেমা জোহরার ধান ক্ষেত দেখতে কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ এলাকার কৃষকরাও তার ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন।

১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকোনমিক্সে অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রি লাভকারী বর্তমানে এডিবির জেন্ডার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট প্রকল্পের কনসালটেম্লট হিসেবে নিয়োজিত অবিবাহিত কৃষক ফাতেমা জোহরা জানান, তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তা এ টি এম আজহারুল হকের মৃত্যুর পর গত চার বছর ধরে তিনি তাদের বাঁকা গ্রামের জমি চাষাবাদ করেন।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ড. মাহবুব হোসেনের পরামর্শে ফাতেমা ভিয়েতনামের স্বল্পমেয়াদি এমএস সুজন ধান চাষে উদ্বুদ্ধ হন। ব্র্যাক থেকে বীজ সংগ্রহ করে তিনি এবার ১০ বিঘা জমিতে এ ধান চাষ করেন। ভিয়েতনামি স্বল্পমেয়াদি ধান চাষে ফাতেমার ব্যাপক সফলতা দেখে এলাকার কৃষকরা এ ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।