কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলার হাট ও বাজারগুলোতে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল অবাধে বিক্রি হচ্ছে। কারেন্ট জাল সহজলভ্য হওয়ায় হাওর এলাকাসহ জেলার ১৩টি উপজেলায় একশ্রেণীর জেলে ও মৎসজীবী মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি করছে।জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা মোস্তফা রুহুল আমিন জানান, জেলা শহরের বড়বাজার কারেন্ট জাল বিক্রির প্রধান হাট। এ ছাড়া বিশাল প্লাবনভূমির কারণে হাওরের মিঠামইন, ইটনা, অষ্টগ্রাম, নিকলী, তাড়াইল, করিমগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজারগুলোতে অবাধে কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কারেন্ট জাল বিক্রির খবর জানা গেলেও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সেখানে অভিযান চালানোর কোনো এখতিয়া নেই।

জেলা মৎস্য বিভাগ, জেলে ও মৎস্যজীবী সূত্রে জানা গেছে, মৎস্য বিভাগের লোকজন কেবল জলাশয়ে মাছ ধরার সময় অভিযান চালাতে পারেন। দোকানে কারেন্ট জাল বিক্রি হলেও সেখানে অভিযান চালানোর এখতিয়ার তাঁদের নেই। এই সুযোগে জেলা শহরের বড় বাজার, করিমগঞ্জের নিয়ামতপুর বাজার, তাড়াইলের কাজলা বাজারসহ সব কটি উপজেলার সদর বাজারে অবাধে কারেন্ট জাল বিক্রি হলে বিশাল হাওর ও জলাশয়ে জেলেরা ওই সব কারেন্ট জাল দিয়ে পোনা মাছ, মা-মাছসহ সব ধরনের মাছ নিধন করে চলছে। এ ব্যবসার সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত রয়েছে বলে এলাকার জেলেরা জানান।

হাওরের মৎস্যজীবী আতাউর রহমানসহ অসংখ্য মৎস্যজীবী ও জেলেরা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দোকানগুলোতে অভিযান চালালে অবাধে কারেন্ট জাল বিক্রি সহনশীল মাত্রায় আসতে পারে। প্রতি সপ্তাহে বড় বড় হাট-বাজারগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলে জরিমানাসহ কারেন্ট জাল আটক করে বিনষ্ট করলে হাওরে মৎস্যসম্পদ রক্ষা পেতে পারে। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, কারেন্ট জাল অবাধে বিক্রির সংবাদ তাঁর নজরে এসেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। – সুত্রঃ প্রথম আলো