ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টি দীর্ঘ ৪০ বৎসর যাবৎ অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় আধাপাকা ভবনটির দেয়ালগুলো জড়াজীর্ণ হয়ে খসে খসে পড়ছে। অফিস ভবনটির দরজা জানালাগুলো কে বা কারা রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে গেছে। ফলে কার্যালয়টি এখন গোয়ালঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রায় ৪০ বৎসর যাবৎ অত্র ইউনিয়ন পরিষদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ানম্যানের বাড়িতে অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে কার্যক্রম চলছে। অত্র এলাকার ইউনিয়নবাসী তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে চেয়ারম্যানের বাড়িতে অস্থায়ী কার্যালয়ে যেতে হয়।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসী জানান, ব্রিটিশ আমলে ওই ইউনিয়ন পরিষদটি গঠিত হলেও দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ ওই স্থায়ী কার্যালয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দৈনন্দিন কাজকর্ম চলমান ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে ওই ভবনটির দেয়ালগুলো জড়াজীর্ণ হয়ে পড়ায় এখন আর ওই কার্যালয়ে পরিষদের কোনো কাজকর্ম চলে না। কিন্তু অদ্যাবধি কোনো সরকারের আমলেই জনগণের কল্যাণে গঠিত ওই পরিষদ ভবনটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগই নেয়নি। এর ফলে বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে অস্থায়ী কার্যালয়ে যেতে হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দিক জানান, ব্রিটিশ আমলে গঠিত ওই ইউনিয়ন পরিষদটি জড়াজীর্ণ হয়ে পড়ায় বর্তমানে আমার বাড়িতে অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ইউপি পরিষদের কার্যক্রম চলে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কার্যালয়টি অকেজো হয়ে পড়ায় এলাকার কিছু লোক ওই কার্যালয়ে গরু, বাছুর বেঁধে লালন পালন করায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমি আশা করি বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ অচিরেই সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের একটি অফিস ভবনের জন্য টাকা বরাদ্ধ করবেন।