‘স্যার, ফরিদ আমরার লগে বেইমানি করছে। ডাকাতি ছাইড়া পুলিশের খেদমতদার হইছে। আমরার ক্ষেপের কথা পুলিশকে জানাইয়া দেয়। আমরার লগে থাকব না, ভালা কথা। পুলিশের সোর্স হইলে কেন? তাইজ্জব ব্যাপার, হে আমরারে র্যাব-পুলিশের ডর দেহায়। কাজ না কইরা কাজের ভাগ চায়। কাজ করুম আমরা, হেরে ভাগ দিমু কেন? তার চেয়ে ভালা, হেরে ভাগ কইরা মাছের আদার (খাবার) বানাইয়া ফালামু। তা হইলেই তো ঝামেলা খতম। স্যার, কম কইরা হইলেও ১০০ টুকরা করছি। মেঘনায় ছাড়ামাত্র মাছ ঠুকুর মাইরা খাইতে থাহে।’

ভৈরবে ফরিদ হত্যায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামি তাহের মিয়া ১৬১ ধারায় পুলিশের কাছে এবং ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার সময় হত্যার লোমহর্ষক এসব বর্ণনা বের হয়ে আসে। কাসেম ওরফে কাচ্চু মিয়ার ছেলে তাহের মিয়া (৪৪) উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ফরিদ মিয়া (৫৫) হত্যার অন্যতম আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় হত্যা, লাশ গুম, ডাকাতিসহ মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। পুলিশ গত শনিবার ভোরে মেঘনা নদীর একটি নৌকা থেকে তাহেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তিনি ভৈরব থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের কাছে খুনের বর্ণনা দেন। পরে তাঁকে ওই দিন বিকেলে কিশোরগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আইজ উদ্দিনের কাছে ওই দিন তাহের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

-সুমন মোল্লা, প্রথম আলো