য়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) খুলনা সার্কেলে ৬৭ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক গ্রাহকরা বিল পরিশোধ না করায় এই বিরাট অংকের বকেয়া হয় বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।
বকেয়ার শীর্ষে রয়েছে এ অঞ্চলের পাটকলগুলো। এরপরই রয়েছে মসজিদ, মন্দির, কেসিসি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, নিউজপ্রিন্ট ও হার্ডবোর্ড মিল, হাউজিং ও গণপূর্ত বিভাগ প্রভৃতি।
ওজোপাডিকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী গৌরাঙ্গ কুমার পাণ্ডে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, খুলনা মহানগরীর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ (ডিভিশন-১, ২, ৩ ও ৪) এবং ফুলতলা, বাগেরহাট ও মংলা উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে ওজোপাডিকোর খুলনা সার্কেল।
এ সার্কেলে মোট গ্রাহক সংখ্যা এক লাখ ২০ হাজার ৮৫০। এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহক এক লাখ এক হাজার ৩৪৬ জন, বাণিজ্যিক ১৫ হাজার ৩৩৩, সেচ পাম্প ৬০, ক্ষুদ্র শিল্প দুই হাজার ১৬৬, অনাবাসিকের আওতায় মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ মাদ্রাসাসহ ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক হাজার ৪৯২, খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি), পৌরসভা, সড়ক বাতি ও পানির পাম্প মিলে আরো ২৪১ গ্রাহক রয়েছে।
তিনি বলেন, “খুলনা সার্কেলে গত মে মাস পর্যন্ত বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ছিল মোট ৬৭ কোটি ১২ লাখ ৪৫ হাজার ১৮৬ টাকা।
“এর মধ্যে সর্বোচ্চ তিন কোটি ৮৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫১ টাকা বকেয়া হয় পাটকলগুলোর। এছাড়া মসজিদ ও মন্দিরের এক কোটি ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৮ টাকা, কেসিসি’র ৬১ লাখ ৩৪ হাজার ৩২৬ টাকা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ৪৯ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯২ টাকা, নিউজপ্রিন্ট ও হার্ডবোর্ড মিলের কাছে ৩১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা এবং হাউজিং ও গণপূর্তের কাছে ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯০১ টাকা পাওনা রয়েছে।”
এছাড়া আবাসিক গ্রাহকদেরও বিপুল অংকের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও তারা ঠিকমতো বিল পরিশোধ করছেন না বলে তিনি জানান।
গৌরাঙ্গ কুমার পাণ্ডে আরো জানান, যেসব আবাসিক গ্রাহকের তিন মাস বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে শিগগিরই তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এছাড়া বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের তাগিদ দিয়ে দ্রুত চিঠি দেওয়া হবে।