কিশোরগঞ্জে বাথরুমের সেফটি ট্যাংকির বিষক্রিয়ায় দুই ভাইসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ সীমান্তপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতেরা হলেন—মো. তাহের উদ্দিন (৪৫), মো. শাহীন (২২) ও ঝিনুক (১৭)। তাঁরা প্রায় দুই ঘণ্টা ট্যাংকিতে আটকে ছিলেন বলে জানা গেছে। কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার চিকিত্সক আবদুল মজিদ জানান, সেফটি ট্যাংকিতে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সীমান্তপাড়া গ্রামের তাহের উদ্দিনের রান্না ঘরের মেঝের নিচে কিছুদিন আগে একটি বাথরুমের ট্যাংকি নির্মাণ করা হয়। এখনো সেটি ব্যবহার করা হয়নি। সকাল নয়টার দিকে তাহের উদ্দিন প্রায় আট ফুট গভীর ট্যাংকির সেন্টারিং খোলার জন্য ছোট ঢাকনা খুলে ভেতরে নামেন। এ সময় তাহের উদ্দিন ট্যাংকিতে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাঁকে বাঁচাতে দুই ভাগনে শাহীন ও ঝিনুক ট্যাংকিতে নামলে তিনজনই আটকা পড়েন ট্যাংকির গভীরে।

খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার নেতৃত্বে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অভিযান চালান। তাঁরা দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনজনকে উদ্ধার করেন। তাদেরকে কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিত্সকেরা তাঁদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।