কিশোরগঞ্জ তারাপাশা বয়লা গ্রামে ছায়াবৃক্ষ ঘেরা নরসুন্দা নদীর পাড়ে এই ক্ষনজন্মা পুরুষ ওয়ালীনেওয়াজ খান জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৪ সালের ১২ জানুয়ারী। উনার পিতার নাম নেওয়াজ খান, মাতার নাম আতরজান এবং স্ত্রীর নাম আমেনা খানম।
বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের রাজনীতিবিদ, ন্যায় বিচারক, সমাজসেবক, সফল ব্যবসায়ী কিশোরগঞ্জের কালজয়ী পুরুষ ওয়ালীনেওয়াজ খান। তার জীবনী নিয়ে আলোচনা করে শেষ করা যাবেনা। তিনি যৌবনে রাজনীতিতে বিভিন্ন সময়ে ভারতের আলীপুর সেন্ট্রাল জেলে কারাবরণ করেছেন। এক সময়ে রাজনীতি থেকে সরে এসে ব্যবসায় মনোযোগ দেন। মাঝামাঝি বয়সে ধণাঢ্য হন।
তিনি অত্যন্ত উঁচু মাপের মানুষ ছিলেন। সমাজসেবক হিসেবে দেশের মানুশ যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য কিশোরগঞ্জ শহরে আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয়, ওয়ালীনেওয়াজ খান কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর রাজনৈতিক কর্মকান্ডে লেখা আছে ভারতের “মুক্তির সংগ্রামের ভারত” গ্রন্থে, বাংলাদেশ কমরেড খোকা রায়ের “সংগ্রামে তিন দশক” গ্রন্থে, কবি আবিদ আজাদ এর “কবিতার স্বপ্ন”গ্রন্থে ও লেখক বদরুদ্দীন এর “পূর্ববাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি” গ্রন্থে এবং “কিশোরগঞ্জ এর ইতিহাস”গ্রন্থে।
মৃত পূর্ব পর্যন্ত তিনি একজন কর্মঠ ব্যক্তি ছিলেন। ওয়ালীনেওয়াজ খান অগ্নি যুগের অগ্নি পুরুষ। এই পৃথিবীতে আসা যাওয়া চিরন্তন। সেইও নিয়মে তিনি চলে গেছেন, আমাদের জন্য রেখে গেছেন এক শুন্যতা। ১৯৮৬ সালের ২৫ শে নভেম্বর রোজ মঙ্গলবার, বিকাল ৫ টা ১৫ মিনিটে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
Trackbacks/Pingbacks
You must log in to post a comment.