নদীমাতৃক বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকা ইটনা থানার জয়সিদ্ধি গ্রামে  ২৬ নভেম্বর ১৮৮৫ খ্রীঃ বিজ্ঞানী দেবেন্দ্র মোহন বসু জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মোহিনী মোহন বসু। রেংলার আনন্দ মোহন বসু তার সহোদর কাকা।বাল্যকালে পিতৃবিয়োগ ঘটলে মাতুল বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর সান্নিধ্যে ভারতে বসবাস করেন। ১৯১২ খ্রীঃ লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েল কলেজ অব সাইন্স থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯১৯ খ্রীঃ বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি,এইচ,ডি ডিগ্রী লাভ করেন।

তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন দীর্ঘকাল। কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার জয়সিদ্ধি গ্রামের কৃতি সন্তান ভারতীয় উপমাহাদেশের তিনিই প্রথম বিজ্ঞানী যিনি এ উপমহাদেশে ’উইলসন ক্লাউড’ চেম্বার নিয়ে প্রথম এ দেশে পরমানু বিজ্ঞান সম্পর্কে গবেষনায় ব্রতী হয়েছিলেন। তিনিই প্রথম বিজ্ঞানী আচার্য বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর মৃত্যুর পর কিশোরগঞ্জের কৃতি সন্তান বাংলার অন্যতম বিজ্ঞানী ভারতের ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’- এর অধ্যক্ষ হয়েছিলেন।

১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের পর স্বাধীনতা উত্তর ১৯৭৫ সালের ২ জুন তিনি ভারতের কলকাতা শহরে পরলোক গমন করেন।বিজ্ঞানী দেবেন্দ্র মোহন বসু আজও কিশোরগঞ্জের গর্ব, কিশোরগঞ্জের অহংকার।

সুত্রঃ কিশোরগঞ্জের ইতিহাস, সাইদুর রহমান

আরো তথ্যঃ