ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় এই প্রবাদ বাক্যটি একান্তই সত্য যার বেলায় তিনি দানবীর সৈয়দ আমিনুল হক,ঐতিহ্যবাহী এক মুসলিম পরিবারের সন্তান ।তার পরিবার সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রঃ)-এর বংশধর। সৈয়দ নাসির উদ্দিনের আগমন বাগদাদ থেকে, তিনি দিল্লীর সুলতানের সিপাহসালার। তিনি সিলেট ও হবিগঞ্জের মুড়ারবন্দে তার মাজার শরীফটি অলৌ্কিক কারণে পূর্ব পশ্চিমে লম্বা। উল্লেখ্য যে, আমাদের দেশের মুসমানদের কবর উওর-দক্ষিণে হওয়া বাধ্যতামূ্লক ।সৈয়দ আমিনুল হকের জন্ম হয়েছে সম্ভবত সমাজের অবহেলিত এক বিশাল জনগোষ্ঠির কল্যাণেই ।

দেশহিতৈষী সৈয়দ আমিনুল হকের জন্ম ১৮ জুলাই ১৯৩২ সালে কিশোরগঞ্জের বৌলাই গ্রামের ঐতিহ্যবাহী এক জমিদার বংশে। জন্ম অবশ্য তার রুপোর চামচ মুখে নিয়েই। দরিদ্রতা তাকে কোন দিন স্পর্শ করতে পারে নাই ।অবশ্য দরিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত মানবাত্মাকে দেখলেই তিনি হয়ে পড়েন ব্যথিত ।অন্তরটা হয়ে ঊঠে বেদনায় ভারাক্রান্ত ।তিনি বহু দরিদ্র মেধাবী ছাত্র তার আর্থিক সাহায্যে তাদের শিক্ষা জীবন চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক ছাত্র  ছাত্রী তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োজিত রয়েছে। তিনি বর্তমানে সৈয়দ আমিনুল হক এসোসিয়েটস লিমিটেড,শাহাল ট্রেডিং,ই-হক ইন্টারন্যাশনাল,ইউনিক মেটাল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ,পার্টি প্যালেস কমিউনিটি সেন্টার, সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন মেমোরিয়াল-এর চেয়ারম্যান ।

সম্প্রতি ২০০৪ সালে তারই একক মহ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত জনকল্যাণ প্রকল্প-জামে মসজিদ, এতিমখানা, মক্তব, মাদ্রাসা, স্কুল, স্বাস্হ্য সেবা কেন্দ্র, পুকুর, ধান্য ক্ষেত্র, মার্কেট ও রেষ্ট হাউস প্রভৃতি হাবিব নগরে সৈয়দ আমিনুল হক ট্রাষ্টে দান করে দেন ।

সৈয়দ আমিনুল হক ১৯৫২ সালে বগুড়া জেলা স্কুল হতে কৃ্তিত্বের সঙ্গে মেট্রিক পাস করে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ব্যাপটিস্ট মিশন হোস্টেলে অবস্হান করে ঢাকা কলেজ়ে আই.এ.এবং পরবর্তীতে ইষ্ট পাকিস্তান পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটে মেটালার্জি ডিপার্টমেণ্টে পড়াশুনা করেন । পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটে অধ্যয়নকালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাত্র ইউনিয়নের প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন। অতঃপর ১৯৬২ সালে কলম্বো-প্ল্যান স্কলারশিপ নিয়ে অষ্ট্রেলিয়া থেকে শিল্প ব্যবস্হাপনায় গ্রেজুয়েশন কোর্স সমাপ্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সৈয়দ আমিনুল হক ঢাকা শহরে ও বাইরে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সাংস্কৃতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থেকে দেশের সামাজিক, শিক্ষা ও সামাজিক কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে চলেছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকাস্হ কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির আজীবন সম্মানীয় সভাপতি, উর্ধতন উপদেষ্টা-বৃহওর ময়মনসিংহ সমিতির,প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, বৃহওর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতি্ক ফোরামের পরিচালক ও উ সব কমি্টির সাবেক চেয়ারম্যান, প্রধান পৃষ্ঠপোষক- কিশোরগঞ্জ সারগাম ললিতকলা একাডেমী, হবীগঞ্জে সৈয়দ নাসির উদ্দিন শিক্ষা সদনের উদ্যোক্তা ও সহ-সভাপতি, সদস্য-হলিক্রস কলেজ গভর্নিং বডি, দাতা সদস্য গুলশান ক্লাব ও সাবেক সদস্য বনানী স্কুল ম্যানেজিং কিমিটি,  ঢাকা ইত্যাদি ।