অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে রয়েছে কটিয়াদী বধ্যভূমি। স্বাধীনতার ৩৮ বছর পরও এই বধ্যভূমির কোন সংস্কার বা উন্নয়ন সাধন করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা স্বাধীনতাকামী মানুষদের ধরে এনে কটিয়াদী পাইলট বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম মাহবুবা হাসনাত ২০০০ সালে এই বধ্যভূমিটি চিহ্নিত করে। বিজয় দিবসে এখানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সরকারিভাবে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর পর আর এই বধ্যভূমির ব্যাপারে সরকারি কোন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই বধ্যভূমিটি সংরক্ষণ এবং শহীদদের নামাঙ্কিত একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করার জন্য কটিয়াদী উপজেলাবাসী দীর্ঘদিন পরিষদ ও পৌর কর্তৃপক্ষ কেউ এ ব্যাপারে এগিয়ে আসেনি। কটিয়াদীতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত কোন স্মৃতি সৌধ আজও নির্মাণ করা হয়নি। এটা কটিয়াদীবাসীর দুর্ভাগ্য। অথচ মুক্তিযুদ্ধে কটিয়াদীবাসীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। কটিয়াদীতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ ও বধ্যভূমিটি সংরক্ষণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
— আ. মালেক মাস্টার
অসাধরণ!