সম্প্রতি নাসার গবেষকরা জানিয়েছেন, সূর্য বর্তমান ক্ষমতার তুলনায় আরো সক্রিয় হচ্ছে। এর ফলে পৃথিবীর ওপর এর একটি খারাপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও করছেন তারা। তাদের আশঙ্কা, সামনে সৌরঝড়ের মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। খবর ইয়াহু অনলাইনের ।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, পৃথিবী থেকে পাঠানো উপগ্রহগুলো সৌরঝড়ের ক্ষতি থেকে বাঁচানোর উপায় বের করতে আলোচনায় বসেছিলেন নাসার সৌরবিজ্ঞানীরা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, সৌরঝড়ের কারণ হলো সৌরকলঙ্ক থেকে বের হওয়া চার্জিত কণা। এ কণার উদগীরণ হলে সৌরমন্ডলের শক্তি সামঞ্জস্য বিঘ্নিত হয়। জানা গেছে, সূর্যের এ চক্রটি প্রতি ১১ বছর পর পর আবর্তিত হয়।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, নাসা( ন্যাশনাল অ্যারনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এবং নোয়া (ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) সূর্যের পরিস্থিতি এবং পরিবর্তন বিষয়ে নজর রাখছে। এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে স্টেরিও (সোলার টেলিস্টেরিয়াল রিলেশনস অবজারভেটরি) এবং এসডিও (সোলার ডাইনামিক্স অবজারভেটরি) নামের দুটি নভোযান। এছাড়াও এসিই (অ্যাডভান্সড কম্পোজিশন এক্সপ্লোরার) নামের একটি বেশ পুরোনো উপগ্রহও সূর্য পর্যবেক্ষণে ব্যবহার করা হচ্ছে।
গবেষকদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সৌরমন্ডলে এ ধরনের পরিবর্তনের ফলে আধুনিক প্রযুক্তি জগতে সমস্যা দেখা দেবে। সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে।