উৎসব আর আনন্দে বুধবার ঈদুল আজহা উদযাপন করছে দেশের মুসলিম স�প্রদায়। সকালে ঈদের নামাজ পড়ে পশু কুরবানি দিচ্ছেন সামর্থ্যবানরা।তবে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মঙ্গলবারও দেশের কিছু কিছু এলাকার মানুষ ঈদ উদযাপন করেছে।রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায়। এতে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিচারপতি, কূটনীতিক ও রাজনীতিকসহ সর্বস্তরের নাগরিক অংশ নেন। প্রধান জামাতের পাশে পর্দা দিয়ে মহিলাদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসিসির উদ্যোগে এবার মহানগরীর ৯০টি ওয়ার্ডে ৩৬০টি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠসহ মোট ৩৬১টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের পাঁচটি জামাত হচ্ছে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, দ্বিতীয়টি সকাল ৮টায়, তৃতীয়টি সকাল ৯টায়, চতুর্থটি সকাল ১০টায় এবং সর্বশেষ জামাত হবে বেলা পৌনে ১১টায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথমটি সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয়টি সকাল ৯টায়। এছাড়াসলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদে সকাল ৮টায়, শহীদুল্লাহ হল লনেও একই সময়ে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া পৃথক বাণীতে দেশবাসীসহ মুসলিম স�প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তারা মুসলিম স�প্রদায়ের সুখ ও সমৃদ্ধিও কামনা করেন।

ঈদে রাজধানীর নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। কুরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ব্যবস্থা নিয়েছে সিটি কর্পোরেশনও।গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে রওনা হওয়া নগরবাসীদের অনেককে পোহাতে হয়েছে মহাসড়কের যানজট ভোগান্তি। গাড়ি সঙ্কটে অনেকে মঙ্গলবার রাতেও ছিল পথে। অনেকে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলো গাড়ির অপেক্ষায়।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, “হযরত ইব্রাহীম (আ.) আল্লাহর প্রতি যে আনুগত্য ও ভক্তি প্রর্দশন করেছেন তা অতুলনীয়। সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে এ ত্যাগ চির সমুজ্জ্বল ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। একটি শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল সমাজ বিনির্মাণে ধৈর্য ও সহনশীলতা অপরিহার্য। ঈদুল আজহার ত্যাগের মহান আর্দশ ও শিক্ষাকে আমাদের চিন্তা ও কর্মে প্রতিফলিত করতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে ঈদুল আজহার মর্মবাণী উপলব্ধি করে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে বিভেদ-বৈষম্যহীন একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহবান জানিয়েছেন।বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তার বাণীতে বলেন, “স্বার্থপরতা পরিহার করে মানবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা কোরবানীর প্রধান শিক্ষা। হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-ক্রোধকে পরিহার করে সমাজে শান্তি ও স�প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আত্মনিবেদিত হওয়া আমাদের কর্তব্য।”

ঈদের দিন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান কূটনীতিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। সকালে প্রথমে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধানসহ কূটনীতিকদের সঙ্গে, এরপর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, শুভানুধ্যায়ীসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।একই স্থানে সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কূটনীতিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী।

খালেদা জিয়া ঈদের দিন ইস্কাটন গার্ডেনে লেডিস ক্লাবে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কূটনীতিক এবং সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিশিষ্ট নাগরিকসহ সর্বস্তরের মানুষজনের সঙ্গে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর