টানা বর্ষণ ও উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে নদ-নদী উপচে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল ও সিলেটের বালাগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পানিবন্দী মানুষ। বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলা, কিশোরগঞ্জের তাড়াইল, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের অনেক স্থান ডুবে গেছে।
সিলেটের বালাগঞ্জে মাত্র চার ঘণ্টার বৃষ্টিতে এক থেকে দেড় ফুট পানি বেড়েছে। গত সোমবার রাতে টানা ভারী বর্ষণে এই অবনতি ঘটে। ১৪টি ইউনিয়নের সব কয়টি গ্রামেই এখন বন্যার পানি। উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ শাখা সূত্রে জানা যায়, বালাগঞ্জে দুই লাখ মানুষ পানিবন্দী।
তাড়াইলে নদ-নদীর পানি দুই থেকে আড়াই ফুট বেড়েছে। উপজেলার তিন শতাধিক মৎস্যজীবী পুকুরের মাছ নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেকান্দরনগর গ্রামের বাসিন্দা মৎস্যচাষি সৈয়দ এরশান মিয়া বলেন, ‘পানি বাড়ায় আমার পুকুর তলিয়ে লক্ষাধিক টাকার মাছ হাওরের পানিতে ভেসে গেছে।’
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় নিচু ঘরবাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এর মধ্যে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আনোয়ারপুর বাজার প্লাবিত হয়েছে। হাওরপারের গ্রামগুলোতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ইউএনও মাহমুদুর রহমান বলেন, পানি বাড়লে পরিস্থিতির অবনতি হবে।
ভিডিওঃ আসিফ ইকবাল কাকন