কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রবিউল হাসান অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। গতকাল মঙ্গলবার আদালতে তিনি এ রায় প্রদান করেন। ২০০৩ সনের ৭ মে রাতে কটিয়াদী থানার বেথইর গ্রামের আসাদুজ্জামানের কন্যা মথুরা আক্তার হেপি (১৪) কে তার চাচাত ভাই কিতাব আলী অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এব্যাপারে কটিয়াদী থানায় মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শেষে ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করে। বিজ্ঞ জজ সাক্ষ্য জেরা শেষে আসামী কিতাব আলী ও ফতেহ আলী (পলাতক)কে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া আসামী কিতাব আলীকে একই আইনের ৯(১) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। তবে কিতাব আলী উভয় সাজা একত্রে কাটিবে। জরিমানার দুই লাখ টাকার মধ্যে ভিকটিম হেপিকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা প্রদান করার এবং বাকি টাকা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন।
পাকুন্দিয়া স্কুল ছাত্রী অপহৃত
পাকুন্দিয়ায় এক স্কুল ছাত্রী অপহৃত হয়েছে। গত ২ মে সকালে পাকুন্দিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সীমা সরকার টুম্পা (১১) কে স্থানীয় বখাটে সোহেল উত্যক্ত করত। এ নিয়ে বখাটেকে শাসন করলে রাগান্বিত হয়ে বখাটে সোহেল তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এব্যাপারে টুম্পার বাবা রতন চন্দ্র সরকার পাকুন্দিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপহৃত টুম্পাকে উদ্ধার করা যায়নি।