‘ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কে গেটলক সার্ভিস বাসের গেট কখনোই বন্ধ করা হয় না। নিয়ম মানা হয় না যাত্রী ওঠানামার ক্ষেত্রে। পৌনে দুই ঘণ্টার মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছার কথা থাকলেও বাসগুলো সময় নিচ্ছে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গেলে চালক ও তাঁর সহকারীর দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয় যাত্রীদের।’ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ গেটলক সার্ভিসের নিয়মিত যাত্রী ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের শিক্ষার্থী হাসনাহেনা ঝুমা ও তাঁর সহপাঠীরা সম্প্রতি এসব অভিযোগ করেন।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গেটলক সার্ভিসের এসব অনিয়ম দূর করে সেবার মান বাড়াতে বিভিন্ন সময় জেলা সড়ক পরিবহন কমিটির একাধিক সভা হয়। এসব সভায় গাড়ির মান বাড়ানো, আসনসংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধ করাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।

কিশোরগঞ্জ পরিবহন মালিক সমিতির সূত্রে জানা গেছে, গেটলক বাস সার্ভিসে ৬৭ কিলোমিটারের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬০ টাকা। পৌনে দুই ঘণ্টার মধ্যেই যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা। এই রুটে ৩৬টি গেটলক বাস চলাচল করছে।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকি গ্রামের ফরহাদ আহমেদ জানান, কয়েক দিন আগে তিনি ময়মনসিংহ থেকে গেটলক সার্ভিসের বাসে সাতটা ৪০ মিনিটে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। কিশোরগঞ্জে পৌঁছেন ১১টা ২০ মিনিটে। সময় লেগেছে তিন ঘণ্টা ৪০ মিনিট। পথে বাসটি বিভিন্ন স্থানে যাত্রী ওঠানামা করায়। তিনি এর প্রতিবাদ করলে চালকের সহকারী তাঁকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘প্রাইভেট কার কিইন্যা চলাফেরা কইরেন।’

কিশোরগঞ্জ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি শাহজাহান লস্কর বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ সড়কের মেরামতকাজ শেষ হলে আমরা গেটলক সার্ভিসে নতুন বাস নামাব। আশা করি, তখন কোনো অনিয়ম থাকবে না।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন জানান, গেটলক সার্ভিস নিয়ে জেলা সড়ক পরিবহন কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে অবস্থার পরিবর্তন না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।