বাংলাদেশের বিখ্যাত সর্বজন পরিচিত শিল্পপতি ও সমাজসেবী আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম স্বীয় জন্মস্থান বাজিতপুর থানার ভাগলপুরে গড়ে তুলেছেন জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নামে একটি অত্যাধুনিক ও বহুশয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল।প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৮৯। একই সাথে নার্সিং ইনষ্টিউটের মাধ্যমে ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালিত হচ্ছে।
নিমার্ণ কাজ এখনো অব্যাহত রয়েছে। নির্মাণ শেষে পূর্নাঙ্গ রুপ পেলে তা হবে ১২০০ শয্যা সম্বলিত একটি অয়াধুনিক হাসপাতাল এবং ৩০০ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য সম্পূর্ণ আবাসিক কলেজ।
সত্যিকার অর্থে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে,ব্যস্ত মহানগরী বা শহুরে সংস্কৃতি থেকে দূরে গ্রামীণ মনোরম পরিবেশে বেসরকারী পর্যায়ে এ ধরনের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের জন্য এক বিরল ঘটনা। কিশোরগঞ্জ জেলা সে গৌরবের দাবীদার। বাজিতপুর থানা ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে প্রাচীন ও সমৃদ্ধিশালী হলেও অর্থনৈতিক অবকাঠামো ছিল বরাবরই বূর্বল। উচ্চ শিক্ষার ও উন্নত চিকিৎসার সুযোগ ছিল সীমিতএই এলাকার কৃতী সন্তান আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম সে শুন্যস্থান পূরণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আগষ্ট ১৯৯২ থেকে জহুরুল এসলাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে ৪০ জন ছাত্রকে নিয়ে।এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে।পল্লী বাংলার কোলে এরুপ বেতিক্রম ধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে বাজিতপুরের জনগন ও উদ্যোক্তা জনাব জহুরুল ইসলাম বিরাট জনগোষ্ঠীর মনে সহজেই দাগ কাতাতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়াও আর একটি গুরত্ত পূর্ণ সংযোজন হলো জহুরুল ইসলাম শিক্ষা কমপ্লেক্স। আর্থিক ও অন্যবিধ সহযোগিতায় এই কমপ্লেক্সের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহ উওন্নতির ছোঁওয়া পেয়েছে। প্রতিষ্ঠান সমুহ হল, বাজিতপুর ডিগ্রী কলেজ,বাজিতপুর হাফেজ আবদুর রাজ্জাক উচ্চ বিদ্যালয়, সরারচর শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, রাজ্জাকুন্নেছা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, নাজিরুল ইসলাম কলেজিয়েট স্কুল, আবতাব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়।
জহুরুল ইসলাম মেডিকেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে কলেজের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট ( www.jimedcol.org ) দেখুন ।